✿ বর্ণ:
ধ্বনি নির্দেশক চিহ্নকে বলা হয় বর্ণ।
✿ বর্ণমালা:
যে কোন ভাষায় ব্যবহৃত লিখিত বর্ণসমষ্টিকে সে ভাষার বর্ণমলা বলা হয়।
✿ বঙ্গলিপি :
যে বর্ণমালায় বাংলা বর্ণ লিখিত হয় তাকে বলা হয় বঙ্গলিপি।
➺ বাংলা বর্ণমালায় বর্ণ ৫০ টি।
✿ বর্ণের প্রকারভাদ:
বর্ণ দুই প্রকার। যথা :
ক. স্বরবর্ণ
খ. ব্যঞ্জনবর্ণ
● স্বরবর্ণ :
স্বরধ্বনি দ্যোতক লিখিত সাংকেতিক চিহ্নকে বলা হয় স্বরবর্ণ।
➺ বাংলা বর্ণমালায় স্বরবর্ণ ১১ টি।
● ব্যঞ্জনবর্ণ :
ব্যঞ্জনধ্বনি দ্যোতক লিখিত সাংকেতিক চিহ্নকে বলা হয় ব্যঞ্জনবর্ণ।
➺ বাংলা বর্ণমালায় ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯ টি।
✿ মাত্রা:
কোন বর্ণের উপরে রেখা দেওয়াকে বলা হয় মাত্রা।
✿ মাত্রার প্রকারভেদ:
মাত্রা অনুযায়ী বাংলা বর্ণ তিন ভাগে বিভক্ত। যথা :
ক. পূর্ণমাত্রাযুক্ত বর্ণ
খ. অর্ধমাত্রাযুক্ত বর্ণ
গ. মাত্রাহীন বর্ণ
● পূর্ণমাত্রাযুক্ত বর্ণ :
যে সব বর্ণের উপর পূর্ণমাত্রা অাছে তাকে পূর্ণ মাত্রাযুক্ত বর্ণ বলে।
➺ পূর্ণ মাত্রাযুক্ত বর্ণ ৩২ টি।
➺ পূর্ণমাত্রাযুক্ত স্বরবর্ণ ৬ টি।
➺ পূর্ণমাত্রাযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ ২৬ টি।
● অর্ধমাত্রাযুক্ত বর্ণ :
যে সব বর্ণের উপর অর্ধমাত্রা অাছে তাকে অর্ধমাত্রাযুক্ত বর্ণ বলে।
➺ অর্ধমাত্রাযুক্ত বর্ণ – ৮ টি।
➺ অর্ধমাত্রাযুক্ত স্বরবর্ণ – ১ টি।
➺ অর্ধমাত্রাযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ – ৭ টি
● মাত্রাহীন বর্ণ :
যে সব বর্ণের উপর কোন মাত্রা নেই তাকে মাত্রাহীন বর্ণ বলে।
➺ মাত্রাহীন বর্ণ – ১০ টি।
➺ মাত্রাহীণ স্বরবর্ণ – ৪ টি।
➺ মাত্রাহীণ ব্যঞ্জনবর্ণ – ৬ টি।
✿ কার:
স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে কার বলে।
➺ বাংলা বর্ণমালায় কার -১০ টি।
➺ অ এর কোন সংক্ষিপ্ত রূপ নেই।
✿ ফলা:
ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে ফলা বলে।
➺ বাংলা বর্ণমালায় সাধারণত ৭ টি ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ বা ফলা পরিলক্ষিত হয়।
No comments:
Post a Comment