eBongBD.com

"All about things for easy life"
This is a website about solution of our daily problems. You can get here all Problem's solution.

Breaking

পড়ার টেবিলে বসার পূর্বে ১০ মিনিট হাঁটলে বা হালকা ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে পড়া মনে রাখতে বেশ সুবিধা হয়।

Tuesday, September 13, 2016

কম্পিউটারের প্রকারভেদ

● প্রয়োগক্ষেত্রের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে সাধারণত ভাগ করা যায় – দুই ভাগে। যথা: ১. সাধারণ কম্পিউটার ২. বিশেষ কম্পিউটার
● সাধারণ কম্পিউটার : সাধারণ কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরণের প্রোগ্রাম সংরক্ষিত থাকে। এতে সহজেই বিভিন্ন প্রোগ্রামে সংরক্ষণ, পরিবর্তন বা মুছে ফেলা যায়। ব্যবহারকারী প্রয়োজনমতো ভিন্ন ভিন্ন প্রোগ্রাম চালিয়ে কাজ করতে পারে।
● বিশেষ কম্পিউটার : বিশেষ কম্পিউটারকে কেবলমাত্র একটি বিশেষ বা নির্দিষ্ট কাজের জন্য তৈরি করা হয়। এ কম্পিউটারে কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। সংরক্ষিত প্রোগ্রামটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা থাকে বলে একে সহজে পরিবর্তন করা যায় না।
● গঠন ও ক্রিয়া নীতির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে ভাগ করা যায় – তিন ভাগে। যথা:
১। অ্যানালগ কম্পিউটার
২। ডিজিটাল কম্পিউটার
৩। হাইব্রিড কম্পিউটার
✿ অ্যানালগ কম্পিউটার :
● অ্যানালগ কথাটা এসেছে Analogous শব্দ থেকে যার অভিধানিক অর্থ হলো – সদৃশ।
● অ্যানালগ কম্পিউটারে বর্ণ এবং অংকের বদলে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল সংকেত বা অ্যানালগ সংকেত ব্যবহার করা হয়।
● অ্যানালগ সংকেতের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে – পর্যায়ক্রমিক ভাবে ওঠা-নামা করা।
● অ্যানালগ কম্পিউটার প্রক্রিয়াজাত ফলাফলকে প্রকাশ করে – সাধারণত প্রদর্শনের কাঁটার সাহায্যে।
● প্লোটারের সাহায্যে অংকিত গ্রাফের অাকারে ও ছবি এঁকে।
● অ্যানালগ কম্পিউটারে পরিমাপ করে ফলাফল বের করা হয় বলে এর সূক্ষ্মতা কম, মোটামুটি ০.১%।
● অ্যানালগ কম্পিউটারের উদাহরণ – মোটরগাড়ির স্পিডোমিটার, স্লাইড রুল, অপারেশনাল অ্যামপ্লিফায়ার ইত্যাদি।
✿ ডিজিটাল কম্পিউটার :
● ডিজিটাল কম্পিউটারের ডিজিটাল কথাটি Digit শব্দ হতে উৎপন্ন হয়েছে যার অর্থ – অংক।
● প্রক্রিয়াকরণের ফলাফল সরাসরি মনিটরে বা অন্য কোনো অাউটপুট ডিভাইসে প্রদর্শিত হয় – ডিজিটাল কম্পিউটারে।
● ডিজিটাল কম্পিউটার হলো গণিতের নীতির উপর নীতির উপর ভিত্তি করে পরিচালিত – একটি হিসাবযন্ত্র।
● ডিজিটাল কম্পিউটারে – ডিজিটাল সংকেত বা বিদ্যুৎ প্রবাহ চালু বা বন্ধ করে হিসাবকার্য করারহয়ে থাকে অর্থাৎ এটি ‘০’ ‘১’ দিয়ে সব ধরণের কাজের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
● ডিজিটাল কম্পিউটারের কাজের সূক্ষ্মতা – অনেক বেশি।
● সাধারণত অামরা যেসব কম্পিউটার ব্যবহার করি তার বেশিরভাগই – ডিজিটাল কম্পিউটার।
● প্রথম Digital Computer এর নাম – Mark-1
● অাকার-অায়তন, কাজ করার ক্ষমতা, স্মৃতি ও সুযোগ ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে ডিজিটাল কম্পিউটারকে ভাগ করা হয়েছে – চার ভাগে। যথা:
ক. সুপার কম্পিউটার
খ. মেইনফ্রেম কম্পিউটার
গ. মিনি কম্পিউটার
ঘ. মাইক্রো কম্পিউটার
✿ সুপার কম্পিউটার :
● ক্ষমতা-অাকৃতি ইত্যাদির ভিত্তিতে অতি বড় কম্পিউটারকে বলা হয় – সুপার কম্পিউটার।
● সবচেয়ে দ্রুতগতির কম্পিউটার হলো – সুপার কম্পিউটার।
● প্রতি সেকেন্ডে বিলিয়ন হিসাব করতে পারে – সুপার কম্পিউটার।
● সুপার কম্পিউটার – মেইনফ্রেম, মিনি ও মাইক্রো কম্পিউটারের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
● সুপার কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য হলো – ক্ষমতা বেশি, অাকার-অাকৃতিতে অনেক বড়, অত্যন্ত শক্তিশালী, অত্যন্ত দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারে ইত্যাদি।
● সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় – সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক গবেষণা, বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ, নভোযান, জঙ্গিবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, মহাকাশ গবেষণা, পারমাণবিক চুল্লী ইত্যাদি ক্ষেত্রে।
● বর্তমানে বিশ্বের দ্রুততম সুপার কম্পিউটার হলো – তিয়ানহে-২ (চীন)
● ‘পরম’ নামে সুপার কম্পিউটার তৈরি করে যে দেশ – ভারত।
● বাংলাদেশের একমাত্র সুপার কম্পিউটারটি অাছে – বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ল্যাবে।
● বাংলাদেশের সুপার কম্পিউটারটি হলো – IBM RS/6000 SP মডেলের।
✿ মেইনফ্রেম কম্পিউটার :
● মেইনফ্রেন কম্পিউটার হলো – এমন একটি বড় কম্পিউটার যার সঙ্গে অনেকগুলো কম্পিউটার বা ডাম্ব টার্মিনাল যুক্ত করে এক সঙ্গে অনেক মানুষ কাজ করতে পারে।
● মেইনফ্রেম কম্পিউটার সুপার কম্পিউটারের চেয়ে – অাকারে ছোট।
● ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশে স্থাপিত প্রথম কম্পিউটারটি ছিল – IBM-1620 মডেলের যা একটি মেইনফ্রেম কম্পিউটার।
● মেইনফ্রেম কম্পিউটার ব্যবহৃত হয় – বড় বড় প্রতিষ্ঠান কোম্পানি, ফ্যাক্টরি ইত্যাদি।
✿ মিনি কম্পিউটার :
● মেইনফ্রেম কম্পিউটারের চেয়ে ছোট অাকারের কিন্তু পার্সোনাল বা মাইক্রো কম্পিউটারের চেয়ে বড় অাকারের কম্পিউটারকে বলে – মিনি কম্পিউটার।
● মিনি কম্পিউটারের জনক – কেনেথ এইচ ওলসেন।
● মিনি কম্পিউটারকে বলা হয় – মধ্যম সারির কম্পিউটার।
● প্রথম মিনি কম্পিউটারের নাম – পিডিপি-১।
✿ মাইক্রো কম্পিউটার:
● সুপার মেইনফেম ও মিনি কম্পিউটারের চেয়ে অাকার ছোট কম্পিউটারকে বলে – মাইক্রো কম্পিউটার।
● মাইক্রো কম্পিউটারের অপর নাম – পার্সোনাল কম্পিউটার।
● PC এর পূর্ণরূপ হলো – Personal Computer.
● প্রথম তৈরি Personal Computer – ভ্যালটেয়ার ৮৮০০
● মাইক্রো বা পার্সোনাল কম্পিউটার কয়েক শ্রেণির হতে পারে। যথা:
ক. ডেক্সটপ
খ. ল্যাপটপ
গ. নোটবুক
ঘ. ট্যাবলেট
ঙ. হ্যালহেড বা পামটপ
● প্রথম পার্সোনাল কম্পিুটার তৈরি করেন – মাইক্রোইনস্ট্রমেন্টেশন এন্ড টেলিমেট্রি সিস্টেমস
● ডেক্স বা টেবিলে স্থাপন করে যে মাইক্রো কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়, তাকে বলে – ডেক্সটপ কম্পিউটার।
● Lap শব্দের অর্থ – কোল।
● কোলের উপর স্থাপন করে কাজ করা যায়, এমন ছোট অাকারের কম্পিউটারকে বলা হয় – ল্যাপটপ।
● ১৯৮১ সালে ল্যাপটপ কম্পিউটার বাজারে অানে – এপসন কোম্পানি।
● ল্যাপটপ কম্পিউটারের সুবিধা হলো – বহনযোগ্যতা, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, মাুসের পরিবর্তে টাচপ্যাড।
● দোয়েল ল্যাপটপ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হলো – টেশিস।
● টেশিস এর পূর্ণরূপ হলো – টেলিফোন শিল্প সংস্থা লিমিটেড।
● নোটবুক হলো – পূর্ণ অাকারের চেয়ে অপেক্ষাকৃত ছোট কী বোর্ড এবং ফ্লিপ অাপ মনিটর সম্বলিত এক প্রকার মোবাইল কম্পিউটার।
● নোটবুকের অাকার – ল্যাপটপের চেয়ে ছোট কিন্তু পামটপের চেয়ে বড়।
● হ্যান্ডহেল্ড বা পামটপ হলো – হাতের তালুতে রেখে কাজ করার জন্য এমন ছোট অাকারের কম্পিউটার।

No comments:

Post a Comment