eBongBD.com

"All about things for easy life"
This is a website about solution of our daily problems. You can get here all Problem's solution.

Breaking

পড়ার টেবিলে বসার পূর্বে ১০ মিনিট হাঁটলে বা হালকা ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে পড়া মনে রাখতে বেশ সুবিধা হয়।

Monday, September 12, 2016

ধ্বনির পরিবর্তন

ভাষার পরিবর্তন ধ্বনির পরিবর্তনের সাথে সম্পৃক্ত। ধ্বনি পরিবর্তন নানা প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। নিচে তা উল্লেখ করা হলো :
● অাদি স্বরাগম :
উচ্চারণের সুবিধার জন্য বা অন্য কোন কারণে শব্দের অাদিতে স্বরধ্বনি এলে তাকে অাদি স্বরাগম বলে।
যেমন : স্কুল > ইস্কুল, স্পর্ধা > অাস্পর্ধা
● মধ্য স্বরাগম/বিপ্রকর্ষ/স্বরভক্তি :
উচ্চারণের সুবিধার জন্য সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির মাঝখানে স্বরধ্বনি অাসে তখন তাকে মধ্য স্বরাগম/
বিপ্রকর্ষ/স্বরভক্তি বলে।
যেমন : রত্ন > রতন, ধর্ম > ধরম
● অন্ত্যস্বরাগম :
কোনো কোন সময় শব্দের শেষে অতিরিক্ত স্বরধ্বনি অাসলে তাকে অন্ত্যস্বরাগম বলে।
যেমন: পোখত্ > পোক্ত, সত্য > সত্যি
● অপিনিহিতি :
পরের ই/উ কার অাগে উচ্চারিত হলে অথবা যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির অাগে ই/উ কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে।
যেমন : অাজি > আইজ, সাধু > সাউধ
● অসমীকরণ :
একই স্বরের পুনরাবৃত্তি দূর করার জন্য মাঝখানে যখন স্বরধ্বনি যুক্ত হয় তখন তাকে বলে অসমীকরণ।
যেমন : ধপ+ধপ > ধপাধপ, টপ + টপ > টপাটপ।
● স্বরসঙ্গতি :
একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অপর স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে।
যেমন : দেশি > দিশি, বিলাতি > বিলিতি
সরসঙ্গতি কয়েক প্রকারের হয়ে থাকে। যথা :
➺ প্রগত : অাদিস্বর অনুযায়ী অন্ত্যস্বর পরিবর্তিত হলে প্রগত স্বরসঙ্গতি হয়।
যেমন : মুলা > মুলো, শিকা > শিকে।
➺ পরাগত : অন্ত্যস্বরের কারণে অাদিস্বর পরিবর্তিত হলে পরাগত স্বরসঙ্গতি হয়।
যেমন : অাখো > অাখুয়া > এখো, দেশি > দিশি
➺ মধ্যগত : অাদিস্বর ও অন্ত্যস্বর কিংবা অন্ত্যস্বর অনুযায়ী মধ্যস্বর পরিবর্তিত হলে মধ্যগত স্বরসঙ্গতি হয়।
যেমন : বিলাতি > বিলিতি।
➺ অন্যোন্য : অাদ্য ও অন্ত্য দু স্বরই পরস্পর প্রভাবিত হলে অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি স্বরসঙ্গতি হয়।
যেমন : মোজা > মুজো
● সমপ্রকর্ষ/স্বরলোপ :
দ্রুত উচ্চারণের জন্য শব্দের অাদি, অন্ত্য বা মধ্যবর্তী কোন স্বরধ্বনির লোপকে বলা হয় সম্প্রকর্ষ/
স্বরলোপ।
যেমন:
ক. অাদিস্বরলোপ : অালাবু > লাবু > লাউ
খ. মধ্যস্বরলোপ : সুবর্ণ > স্বর্ণ
গ. অন্তস্বরলোপ : অাশা > অাশ, চারি > চার
● ধ্বনি বিপর্যয় :
শব্দের মধ্যে দুটো ব্যঞ্জনের পরস্পর পরিবর্তন ঘটলে তাকে ধ্বনি বিপর্যয় বলে।
যেমন : বাক্ স > বাস্ ক, রিকসা > রিসকা
● সমীভবন :
শব্দমধ্যস্থ দুটো ভিন্ন ধ্বনি একে অপরের প্রভাবে অল্প-বিস্তর সমতা লাভ করে। এ ব্যাপারকে বলা হয় সমীভবন।
যেমন : জন্ম > জম্ম, কাঁদনা > কান্না
ক. প্রগত সমীভবন : পূর্ব ধ্বনির প্রভাবে পরবর্তী ধ্বনির পরিবর্তন ঘটে। অর্থাৎ পরবর্তী ধ্বনির মত হয়, একে প্রগত সমীভবন বলে।
যেমন : চক্র > চক্ ক, পক্ব > পক্ ক
খ. পরাগত সমীভবন : পরবর্তী ধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী ধ্বনির পরিবর্তন হয়, একে বলে পরাগত সমীভবন।
যেমন : তৎ + জন্য = তজ্জন্য, তৎ +হিত
গ. অন্যোন্য সমীভবন : যখন পস্পরের প্রভাবে দুটো ধ্বনিই পরিবর্তিত হয় তখন তাকে বলে অন্যোন্য সমীভবন।
যেমন: সংস্কৃত সত্য > প্রাকৃত সচ্চ, সংস্কৃত বিদ্যা > প্রাকৃত বিজ্জা
● বিষমীভবন :
দুটো সমবর্ণের একটির পরিবর্তনকে বিষমীভবন বলে।
যেমন : শরীর > শরীল, লাল > নাল।
● দ্বিত্ব ব্যঞ্জন/ব্যঞ্জনদ্বিত্বতা :
কখনো কখনো জোর দেওয়ার জন্য শব্দের অন্তর্গত ব্যঞ্জন দ্বিত্ব হয়, একে বলে দ্বিত্ব ব্যঞ্জন বা ব্যঞ্জনদ্বিত্বতা।
যেমন : পাকা > পাক্কা, সকাল > সক্কাল
● ব্যঞ্জন বিকৃতি :
শব্দ মধ্য কোনো কোনো সময় কোনো ব্যঞ্জন পরিবর্তিত হয়ে নতুন ব্যঞ্জন ধ্বনি ব্যবহৃত হয়। একে বলে ব্যঞ্জন বিকৃতি।
যেমন : কবাট > কপাট, ধোবা > ধোপা
● ব্যঞ্জনচ্যুতি :
পাশাপাশি সমউচ্চারণের দুটো ব্যঞ্জনধ্বনি থাকলে তার একটি লোপ পায়। এ রূপ লোপকে বলা হয় ব্যঞ্জনচ্যুতি।
যেমন : বড়দিদি > বউদি, বড়দাদা > বড়দা
● অন্তর্হিত :
পদের মধ্যে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেলে তাকে বলে অন্তর্হিত।
যেমন : ফাল্গুন > ফাগুন, ফলাহার > ফলার।
● অভিশ্রুতি :
বিপর্যস্ত স্বরধ্বনি পূর্ববতী স্বরধ্বনির সাথে মিলে গেলে এবং তদনুসারে পরবর্তী স্বরধ্বনির পরিবর্তন ঘটলে তাকে বলে অভিশ্রুতি।
যেমন : শুনিয়া > শুনে, বলিয়া > বলে
● র কার লোপ :
অাধুনিক চলিত বাংলায় অনেক ক্ষেত্রে র-কার লোপ পায় এবং পরবর্তী ব্যঞ্জন দ্বিত্ব হয়।
যেমন : তর্ক > তক্ক, করতে > কত্তে
● হ-কার লোপ :
অাধুনিক চলিত ভাষায় অনেক সময় দু স্বরের মাঝামাঝি হ-কার লোপ কয়।
যেমন : পুরোহিত > পুরুত, গাহিল > গাইল।

No comments:

Post a Comment