Wednesday, September 14, 2016

পদার্থের অবস্থা

● যার ভর অাছে, জায়গা দখল করে এবং জড়তা অাছে তাই – পদার্থ।
● পদার্থের অবস্থা – ৩ টি। যথা : কঠিন, তরল ও বায়বীয়।
● পদার্থ দুই ভাগে বিভক্ত। যথা : মিশ্রণ ও খাটি বস্তু।
● মিশ্রণ দুই প্রকার। যথা : সমসত্ব ও অসমসত্ব।
● খাটি বস্তু দুই প্রকার। যথা: মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ।
● মৌলিক পদার্থ চার প্রকার। যথা : ধাতু, উপধাতু, অধাতু ও নিষ্ক্রিয় মৌল।
● যৌগিক পদার্থ দুই প্রকার। যথা : জৈব যৌগ ও অজৈব যৌগ।
● যে সকল বস্তুকে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করে অন্য কোন সহজ বস্তুতে রুপান্তরিত করা যায় না, তাকে বলে – মৌলিক পদার্থ।
● এ পর্যন্ত অাবিষ্কৃত মৌলিক পদার্থের সংখ্যা – ১১৮ টি।
● যে সকল বস্তুককে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করলে দুই বা ততোধিক পদার্থ পাওয়া যায় তাকে বলে – যৌগিক পদার্থ।
● যে সব মৌল কখনো ধাতু কখনো অধাতুর ন্যায় ন্যায় অাচারণ করে তাকে বলে – উপধাতু। যেমন : অার্সেনিক, বোরন, সিলিকন।
● তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী মৌলকে বলে – ধাতু।
● যেসব মৌল প্রধানত তাপ ও বিদ্যুৎ অপরিবাহী তাদের বলে – অধাতু।
● দুই বা ততোধিক পদার্থকে যে কোনো অনুপাতে মিশালে যদি তারা নিজ নিজ ধর্ম বজায় রেখে পাশাপাশি অবস্থান করে, তবে উক্ত সমাবেশকে বলে – মিশ্রণ।
● বায়ু একটি – মিশ্র পদার্থ।
● সবচেয়ে হালকা গ্যাস – হাইড্রোজেন।
● সবচেয়ে ভারী পদার্থ – তরল মারকারি বা পারদ।
● পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি – ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
● যেসব কঠিন পদার্থ উত্তপ্ত করলে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয় তাকে বলে – উর্ধ্বপাতিত/
উদ্বায়ী পদার্থ। যেমন : অায়োডিন, কর্পূর, নিশাদল।
● পদার্থের পরিবর্তন – দুই প্রকার। যথা: ভৌত পরিবর্তন ও রাসায়নিক পরিবর্তন।
● ভৌত পরিবর্তনের উদাহরণ :
➺ লোহাকে চুম্বকে পরিণত করা।
➺ চিনিকে পানিকে দ্রবীভূত করা।
➺ কঠিন মোমকে তাপে গলানো।
➺ বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানো।
➺ পানিকে ঠান্ডা বরফে পরিণত করা।
➺ পানিকে তাপ দিয়ে জলীয় বাষ্পে পরিণত করা।
● রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ :
➺ লোহায় মরিচা পড়া
➺ দুধকে ছানায় পরিণত করা
➺ মোমবাতির দহন
➺ দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানো
➺ গাছের পাতায় খাদ্য তৈরি প্রক্রিয়া
● নির্দিষ্ট চাপে কোন কঠিন পদার্থ যে তাপমাত্রায় গলতে শুরু করে সে তাপমাত্রাকে বলে ঐ পদার্থের – গলনাংক।
● নির্দিষ্ট চাপে কোন তরল পদার্থ যে তাপমাত্রায় জমতে শুরু করে সে তাপমাত্রাকে বলে ঐ পদার্থের হিমাংক।
● নির্দিষ্ট চাপে কোনো তরল পদার্থ যে তাপমাত্রায় বাষ্পীভূত হতে থাকে সে তাপমাত্রাকে বলে ঐ পদার্থের -স্ফুটনাংক।
● চাপ বৃদ্ধি পেলে স্ফুটনাংক বৃদ্ধি পায়, চাপ কমলে – স্ফুটনাংক কমে।
● যে তাপে বস্তুর তাপমাত্রার পরিবর্তন না ঘটিয়ে শুধু অবস্থার পরিবর্তন ঘটায় সে তাপকে বলে – সুপ্ততাপ।
● গলনাংক, স্ফুটনাংক এবং ঘনত্ব হলো – পদার্থের ভৌত ধর্ম।

No comments:

Post a Comment