eBongBD.com

"All about things for easy life"
This is a website about solution of our daily problems. You can get here all Problem's solution.

Breaking

পড়ার টেবিলে বসার পূর্বে ১০ মিনিট হাঁটলে বা হালকা ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে পড়া মনে রাখতে বেশ সুবিধা হয়।

Wednesday, September 14, 2016

অাবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ন্ত্রণকারী নিয়ামকসমূহ

● যে সব উপাদান অাবহাওয়া পরিবর্তন সাধন করে তাদেরকে বলা হয় – অাবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ন্ত্রণকারী নিয়ামক।
● অাবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ন্ত্রণকারী নিয়ামকসমূহ হলো – অক্ষাংশ, সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা, বায়ু প্রবাহ, সমুদ্র স্রোত, বৃষ্টিপাত, পাহাড়পর্বতের অবস্থান, ভূমির ঢাল, বনভূমির অবস্থান, মাটির প্রকৃতি, সমুদ্র থেকে দূরত্ব এবং বায়ুর অার্দ্রতা।
✿ অক্ষাংশ :
● জলবায়ুর ওপর প্রভাব বিস্তারকারী অন্যতম প্রধান উপাদান হলো – অক্ষাংশ।
● অক্ষাংশ রেখার প্রভাব বেশি – বায়ু ও তাপের উপর।
● নিরক্ষরেখার ওপর সূর্যকিরণ সোজাসুজি পড়ার ফলে – দিনরাত্রি সমান হয় এবং অাবহাওয়া ও জলবায়ু সব সময় উষ্ণ থাকে।
● নিরক্ষরেখার উত্তর বা দক্ষিণে সূর্য কিরণ ক্রমন্বয়ে তির্যকভাবে হেলে পড়ায় – দিনরাত্রি হ্রাসবৃদ্ধি ঘটে।
✿ সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে উচ্চতা:
● সমুদ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি উষ্ণতা অধিক থাকে – বায়ুমন্ডলেরর
● যতই উপরের দিকে বায়ু প্রবাহিত হয়, ততই বায়ু – শীতল হতে থাকে।
● প্রতি ৯১ মি. (৩০০ ফুট) উচ্চতায় উষ্ণতার হ্রাস ঘটে – ০.৫৬ ডিগ্রি সে। (১ ডিগ্রি ফা)
✿ বায়ুপ্রবাহ :
● বাংলাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে অাগত মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয় – গীষ্মকালে।
● বাংলাদেশে মৌসুমি বায়ু উত্তর-পূর্ব থেকে স্থলভাগের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় – শীতকালের।
● শীতকালে বায়ুতে কম থাকে – জলীয় বাষ্প।
✿ পাহাড়-পর্বতের অবস্থান :
● বায়ু প্রবাহে বাধার সৃষ্টি করে – উচ্চ পাহাড় ও পর্বতশ্রেণী।
● ভারতীয় উপমহাদেশের জলবায়ু অপেক্ষাকৃত – কম শীতল।
✿ সমুদ্র স্রোত :
● সমুদ্রের শীতল অথবা উষ্ণ স্রোতের উপর দিয়ে প্রবাহিত বায়ু – যথাক্রমে শীতল ও উষ্ণ হয়ে থাকে।
● যে দেশের উপর উষ্ণ বায়ু প্রবাহিত হয় সে দেশের অাবহাওয়া ও জলবায়ু – উষ্ণ হয়।
● উষ্ণবায়ু প্রবাহিত হওয়ায় – বৃষ্টিপাত ঘটে।
✿ বৃষ্টিপাত :
● বৃষ্টিপাতের ফলে শীতল থাকে – অাবহাওয়া।
● নিরক্ষীয় অঞ্চলে সোজাসুজি পতিত হয় – সূর্যরশ্মি।
● নিরক্ষীয় অঞ্চলে গড়ে উঠেছে – চিরহরিৎ বৃক্ষের বন।
● সারা বছর বৃষ্টিপাত হয় – নিরক্ষীয় অঞ্চলে।
✿ ভূমির ঢাল :
● অক্ষাংশের দিকে সূর্যকিরণ লম্বভাবে পতিত হয় – ঢালু ভুমির উপর।
● অক্ষাংশের বিপরীত দিকে ঢালু ভূমির ওপর সূর্যকিরণ পতিত হয় – তির্যকভাবে।
✿ বনভূমির অবস্থান :
● ঘন গভীর বনজঙ্গলের মাটিতে প্রবেশ করতে পারে না – সূর্যকিরণ।
● ঘন গভীর জঙ্গলের মাটি সবসময় – অার্দ্র থাকে।
● বিশ্বের যে অঞ্চলে যতবেশি ঘন ঘন গভীর বন অাছে, সে অঞ্চলে – ততবেশি বৃষ্পিপাত হয় এবং জলবায়ু অধীক শীতল থাকে।
✿ মাটির প্রকৃতি :
● সূর্যতাপে অতি তাড়াতাড়ি গরম হয় – বালু বা প্রস্তরময় মাটি।
● পার্বত্য ও মরু অঞ্চলে দিনের বেলায় – অধিক গরম পড়ে।
● পার্বত্য ও মরু অঞ্চলে সূর্য তাপের কমার সাথে বায়ু শীতল হতে থাকে, তাই রাতের বেলায় – শীত বাড়ে।
● কাঁদা এবং পলি মাটির তাপ ও পানি ধারণ ক্ষমতা – বেশি।
● কাঁদা এবং পলির মাটির তাপ ও পানি বিকিরণ ক্ষমতা – কম।
✿ সমুদ্র থেকে দুরত্ব :
● গীষ্মকালে সমুদ্রের পানি দিনের বেলায় স্থলভাগের চেয়ে – অধিক শীতল থাকে।
● শীতকালে সমুদ্রের পানি রাতের বেলায় স্থলভাগের চেয়ে – অপেক্ষাকৃত উষ্ণ থাকে।
● সমুদ্র থেকে দূরবর্তী অঞ্চলের জলবায়ু – চরমভাবাপন্ন হয়।
● সমুদ্র থেকে দূরবর্তী অঞ্চলের জলবায়ু – মৃদু বা সমভাবাপন্ন হয়।
✿ বায়ুর অার্দ্রতা :
● যে বায়ুতে অার্দ্রতা পরিমাণ বেশি, সে বায়ু অধিক প্রভাবিত করে – জলবায়ুকে।
● মরু অঞ্চলে দিনের বেলায় – অধিক গরম পড়ে।
● মরু অঞ্চলে রাতের বেলায় – অধিক শীত পড়ে।

No comments:

Post a Comment