এই গ্রীষ্মে শরীরের যত্নে অনেক কিছুই করা থাকি আমরা। বিশেষ করে ত্বকের যত্নে বাইরে যাবার আগে পড়ে যায় সানস্ক্রিন, ছাতা আর সানগ্লাসের খোঁজ। কিন্তু আমরা ভুলে যাই যে আমাদের খাদ্যভ্যাসের ওপরেও ত্বকের সুস্থতা নির্ভর করে অনেকটাই।
এই গ্রীষ্মে নিজেদের খাদ্যভ্যাসের প্রতি একটু বেশি মনোযোগ দিতে হবে। আর ত্বককে সবসময়ের মতো সুস্থ রাখার জন্য নিজের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন প্রাণ জুড়ানো এসব খাবার।
১) তরমুজ-
গ্রীষ্মে সবার প্রিয় খাবার এই তরমুজের প্রায় ৯০ শতাংশই হলো পানি। এ কারণে শরীরকে তরতাজা রাখতে এটা উপকারী। এ ছাড়াও এতে আছে অনেকটা ভিটামিন সি, যা কোলাজেন প্রস্তুতে সাহায্য করে ত্বককে ভালো রাখে। তরমুজের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের ফ্রি র্যাপডিকেলের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।
২) বিভিন্ন বেরি-
বেরি জাতীয় বিভিন্ন ফল, যেমন স্ট্রবেরি, জাম এসব খেতে যেমন ভালো তেমনি এগুলোতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রৌদ্রের প্রভাবে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।
৩) আনারস-
অনেক পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ থাকার পাশাপাশি আনারসে আছে একটি বিশেষ পদার্থ, যার নাম ব্রোমেলাইন। প্রদাহের বিরুদ্ধে দারুণ কাজ করে এই রাসায়নিকটি। রৌদ্রে যাদের ত্বক পুড়ে যায় তাদের জন্য এটি বেশ উপকারী।
৪) টমেটো-
ত্বকের কোষগুলোকে সুরক্ষা দেয় টমেটো। কিভাবে? টমেটোতে আছে লাইকোপিন, যা শুধু কোলাজেন প্রস্তুতে সাহায্য করে তাই নয়, এর পাশাপাশি ত্বকে ভাঁজ পড়া রোধ করে।
৫) শসা-
নির্ঘুম রাত্রির পর ক্লান্ত একজোড়া চোখকে প্রাণবন্ত করে তোলার জন্য শসার ব্যবহার জানা আছে সবারই। কিন্তু ত্বকের উপকারে শসা খাওয়াটাও একই রকমের উপকারি। শসার বেশিরভাগটাই পানি। তাই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে এর অবদান অসামান্য।
৬) লেবু জাতীয় ফল-
কমলা, মাল্টা, লেবু- এসব ফল সব সময়েই ত্বকের জন্য ভালো। এদের মাঝে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যামিনো এসিড ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য জরুরী।
৭) ডাবের পানি-
এই গরমে তৃষ্ণা মেটাতে প্রচুর পরিমাণে চিনি দিয়ে তৈরি করা সব এনার্জি ড্রিঙ্ক বাদ দিয়ে বেছে নিন ডাবের পানি। শরীরে পানির অভাব পূরণ করার পাশাপাশি এতে আছে অনেকটা পটাশিয়াম, যা ত্বকে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করে, ত্বককে করে তোলে তরুণ এবং সুস্থ।
No comments:
Post a Comment