eBongBD.com

"All about things for easy life"
This is a website about solution of our daily problems. You can get here all Problem's solution.

Breaking

পড়ার টেবিলে বসার পূর্বে ১০ মিনিট হাঁটলে বা হালকা ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে পড়া মনে রাখতে বেশ সুবিধা হয়।

Tuesday, December 12, 2017

আভিজাত্যের অহংকারের মতো অন্যায়বোধ হয় আর একটিও নাই।

আভিজাত্যের অহংকারের মতো অন্যায়বোধ হয় আর একটিও নাই।

অঢেল সম্পদের অধিকারী হলেই প্রকৃত ধনী হওয়া যায় না। প্রকৃত ধনী হওয়ার জন্য প্রয়োজন একটি উদার মন। আমাদের সমাজে বহু অভিজাত ব্যক্তি আছে যারা সম্পদেও মোহে পড়ে অন্যকে যথাযথ সম্মান দেয় না। এতে তাদের সংকীর্ণ ও অহংকারী মনের পরিচয় পাওয়া যায়। অহংকার সমাজের চোখে সব সময় একটি গর্হিত অন্যায়। আর আভিজাত্যের অহংকার আরো বড় অন্যায়। কারণ আভিজাত্য মানুষে মানুষে বিবাদ সৃষ্টি করে। একই সমাজে মানুষ পরস্পরের শত্রু হয়ে যায়। সম্পদের অহংকার সমাজে নানা ধরণের শ্রেণিভেদ তৈরি করে। আভিজাত্য মানুষকে অনেক সময় পশুর পর্যায়ে নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে তখন মানবিক গুণ বলতে কিছুই থাকে না। যেকোনো উপায়ে তারা তখন সমাজের কর্তৃত্ব দখল করার চেষ্টা করে। আভিজাত্যের অহংকার সামাজিক বন্ধন নষ্ট করে দেয়। তাই নিজের ধন-সম্পদ নিয়ে যারা অহংকারে লিপ্ত থাকে তারা সমাজের বিচারে সবচেয়ে বড় অন্যায়কারী। আভিজাত্যের অহংকার মানুষকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে যায় যখন সে অপরের অধিকার সম্পর্কে একটুও চিন্তা করে না। সম্পদের দাম্ভিকতা তাকে সামাজিকভাবে অন্ধ করে দেয়। সে যেন তার চেয়ে কম সম্পদশালীদের দেখতেও পায় না। যারা আভিজাত্যের অহংকার করে তাদের কাছে অন্যের অধিকারের কোনো মূল্য থাকে না। অথচ সমাজ চায় ধনী গরীব সবাই একই কাতারে থাকুক। মানবিক মূল্যবোধের চেয়ে সম্পদের মোহ অনেক বড় হয়ে যায় বলে আভিজাত্যের অহংকারী সমাজের চোখে একজন ঘৃণ্য ব্যক্তি। সাময়িক আভিজাত্য নিয়ে অহংকার করা সমাজের সবচেয়ে গর্হিত অন্যায় বলে বিবেচনা করা হয়।

শিক্ষা: ধনসম্পদের আভিজাত্য একজন মানুষের আসল পরিচয় বহন করে না। আভিজাত্যের অহংকার মানুষকে নিশ্চিত পতনের দিকে ঠেলে দেয়।

No comments:

Post a Comment