যুদ্ধ এবং অশান্তি একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। সামাজিক বন্ধনের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে মানুষ পৃথিবীতে বসবাস করছে। মানুষের শান্তি প্রতিষ্ঠার অন্তরায় হলো যুদ্ধ। পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষ শান্তিকামী। কেউ যুদ্ধ, রক্তপাত, সংঘর্ষ চায় না। এগুলো মানুষের সুন্দর মানসিকতাকে বিনষ্ট করে দেয়। ক্ষুদ্র স্বার্থকে কেন্দ্র করে শক্তিশালী দেশগুলো তাদের শত্রুদেশগুলোকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়। যার ফলে দেশটিতে অনেকদিন যাবৎ অশান্তি বিরাজ করে। এই অশান্তি সামাজিক অগ্রগতির অন্তরায়। সমাজের শিক্ষা ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ভিত্তি, কাঠামোগত উন্নয়ন, সবকিছুতেই বাধার সৃষ্টি হয়। যার ফলে অপরাধপ্রবণতা, মাদকাসক্তি, হানাহানি, সংঘর্ষ, ভূমি দখল প্রভৃতি নেতিবাচক দিকগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। যা যুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। যুদ্ধের মাধ্যমে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়। কিন্তু সামাজিক অশান্তি দূর করা সম্ভব হয় না। অশান্তির বহুবিধ কারণ থাকতে পারে। ভয়-আতঙ্ক, দুঃখ-দুর্দশা, অভাব-অনটন, রোগ-শোক প্রভৃতি কারণে অশান্তি সৃষ্টি হয়। এই দীর্ঘস্থায়ী অশান্তি সামাজের অগ্রগতি নষ্ট করে দেয়। উদাহরণ হিসাবে আমরা বলতে পারি, জাপানের হিরোশিমা, নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমার আঘাতে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। কিন্তু সেখানে এখনও পর্যন্ত মানুষের আর্তনাদ শোনা যায়। সুতরাং অশান্তি যুদ্ধের ভয়াবহতাকেও ছাড়িয়ে যায়। শিক্ষা: যুদ্ধ বা অশান্তি উভয়ই মানুষের সুখ, আনন্দ, জীবন, সম্পদ প্রভৃতি বিনষ্ট করে। তাই সামাজের শৃঙ্খলার কথা চিন্তা করে আধুনিক বিশ্বে যুদ্ধ বা অশান্তি কোনোটাই কাম্য নয়।
Tuesday, December 12, 2017
অশান্তি যুদ্ধ থেকেও গুরুতর।
Tags
# ভাবসম্প্রসারণ
About ebongbd
"ALL ABOUT THINGS FOR EASY LIFE"
THIS IS A WEBSITE ABOUT SOLUTION OF OUR DAILY PROBLEMS. YOU CAN GET HERE ALL PROBLEM'S SOLUTION.
ভাবসম্প্রসারণ
Labels:
ভাবসম্প্রসারণ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment