করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক উদ্ভাবনের দাবি করেছে কিউবা। গেল প্রায় ৪০ বছর ধরে যে ওষুধ দিয়ে বিভিন্ন রোগ মোকাবিলা করেছে দেশটি। তারই পরিবর্তিত রূপ করোনাকে পরাজিত করেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আর এই ওষুধ, আক্রান্ত সবগুলো দেশেই দিতে চায় কিউবা। এরইমধ্যে ওই ওষুধ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন দেশ।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বের জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত লাতিন আমেরিকার দেশ কিউবা। এমনকি চিরবৈরী সম্পর্ক যে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে, সেখানেও নিজেদের চিকিৎসক পাঠিয়ে বহুবার মানবিক সেবা দিয়েছে দেশটি। সারা বিশ্বেই চিকিৎসা সেবা খ্যাতি রয়েছে কিউবার। এবার করোনা প্রতিরোধেও দৃষ্টান্ত তৈরির পথে দ্বীপ দেশটি।
কিউবাসহ সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, কিউবায় উদ্ভাবিত ইন্টারফেরন আলফা টু-বি সারিয়ে তুলছে নভেল করোনা। ওষুধটি মানবদেহের ইন্টারফেরনের প্রাকৃতিক উৎপাদন বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও জোরদার করে।
১৯৮৬ সালের দিকে কিউবার সেন্টার ফর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (সিআইজিবি) এই ওষুধটি আবিষ্কার করে। এইডস, হেপাটাইটিস-বি ও সি, হার্পিস জোস্টার বা শিংলস, ডেঙ্গু ও বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়েছে ইন্টারফেরন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় এটি কার্যকর হিসেবে প্রমাণ হয়েছে, এমনটাই দাবি কিউবার বিজ্ঞানীদের।
ইন্টারফেরন আলফা টু-বি এর উদ্ভাবক ড. লুইস হেরেরা বলেন, 'ইন্টারফেরনের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যেগুলো খুবই সামান্য। তাই বলা যেতে পারে এটি নিরাপদ। আমরা আগেও এর সুফল পেয়েছি। আর করোনা প্রতিরোধে সবাইকেই এটা দিতে চাই। চিকিৎসা যে কোন ব্যবসার জিনিস নয়, মৌলিক অধিকার, আমার মনে হয় সেই বিষয়টি উপলব্ধির সময় এসেছে আবার।'
এরই মধ্যে চীনা একটি কোম্পানির সাথে যৌথভাবে উৎপাদিত হচ্ছে ইন্টারফেরন আলফা টু-বি। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পরই চীনে সফলভাবে এর প্রয়োগে দেড় হাজার রোগী সুস্থ হয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া ও জার্মানিতেও করোনায় মৃত্যুহার কমেছে ইন্টারফেরন আলফা টু-বি'র কারণে।
শুধু চীনই নয়, লাতিন আমেরিকার অন্য দেশ, এমনকি ইউরোপ আমেরিকার উন্নত দেশগুলো কিনছে ইন্টারফেরন। অন্যদিকে, কিউবাও আশ্বস্ত করেছে, সবাইকে দেয়ার মত পর্যাপ্ত ওষুধের মজুদ রয়েছে তার।
No comments:
Post a Comment