1. সৃষ্টি বড়ই অদ্ভূত। পৃথিবী জুড়ে এমন অনেক কিছুই রয়েছে, যেগুলো সম্পর্কে ন্যূনতম কোনও ধারণাই আমাদের নেই। বেশি দূরে যেতে হবে না। ‘ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া’ই যে কত সৃষ্টি, কত ঘটনা এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, তাই অনেক সময় আমাদের গোচরে আসে না।
১. ঘরের আনাচে-কানাচে আরশোলা দেখলেই চিত্তির। ছোট্ট এই জীবের বেপরোয়া আনাগোনায় মাথার ঠিক রাখা যায় না। অনেকে তো তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে, সমস্ত মায়া মমতা ত্যাগ করে, এই নিস্পাপ কীটকে মেরে ফেলতে উদ্যত হয়ে ওঠেন। চটি বা ঝাঁটা হাতে লাগিয়ে দেন কয়েক ঘা। তাতেই ধড়-মুন্ডু ছিন্নভিন্ন এই অবলা জীবের।
তবে, জানিয়ে রাখি, বেচারি আরশোলাটি কিন্তু এতটাও বেচারি নয়। সেই মাথাকাটা আরশোলাই আবার জেগে উঠে আপনার মেজাজ আরও গরম করে দিতে পারে। শুনলে অবাক হবেন, আরশোলা তার মাথা ছাড়াই বেশ কয়েক সপ্তাহ বেঁচে থাকতে পারে।
২. জীবজগতের এক অদ্ভূত রহস্যের আজও সমাধান হয়নি। ১৯৮৯ সাল থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে শোনা যায় এক নীল তিমির ডাক। মার্কিন নৌ সেনা প্রথম এই ডাক শনাক্ত করে। এরপরও বহুবার রেকর্ড করা হয়েছে সেই নীল তিমির ডাক। বলা হয়, তিমিটি বিশ্বের সবচেয়ে নিঃসঙ্গ প্রাণী, যে সঙ্গমের সঙ্গীর খোঁজে বছরের পর বছর চিৎকার করে ডেকে চলেছে। তবে, আজও তার ডাকে কেউ সাড়া দেয়নি।
৩. ছোটদের খুব পছন্দের কমিক চরিত্র ডোনাল্ড ডাক। কিন্তু জানেন কি, ফিনল্যান্ডের বাচ্চাদের এই জনপ্রিয় কমিকস থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। ফিনল্যান্ডে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ডোনাল্ড ডাককে। নিশ্চয়ই ভাবছেন, কী এমন ঘটল যে এই নিস্পাপ-নির্ভেজাল কমিক চরিত্রকে একেবারে দেশ থেকে ব্যান করে দিতে হল! আসলে ডোনাল্ডের দোষ, সে কোনও প্যান্ট পড়ে না। এই অসভ্যতাতেই আপত্তি ছিল ফিনল্যান্ড সরকারের।
৪. ১৮৩০ সালে কেচআপ ওষুধ হিসেবে স্বীকৃত ছিল। কিন্তু, তার আগে এই কেচআপকেই বিষাক্ত বলে মনে করা হত।
৫. বাচ্চার কাঠ পেনসিল কেনার পরদিনই সেটা শেষ। বারবার শিস ভেঙে, পেনসিল কেটে কেটে তার দফা রফা। কিন্তু, জানেন কি, সাধারণ মাপের এই পেনসিল দিয়ে ইংরেজির প্রায় ৫০,০০০ শব্দ লেখা যেতে পারে। অথবা এই পেনসিল দিয়ে যদি দাগ টানতে শুরু করেন, গোটা পেনসিলে ৫৬ কিলোমিটার লম্বা লাইন টানতে পারবেন। বিশ্বাস হচ্ছে না?
তাহলে, আজই চেষ্টা করুন…।
No comments:
Post a Comment