eBongBD.com

"All about things for easy life"
This is a website about solution of our daily problems. You can get here all Problem's solution.

Breaking

পড়ার টেবিলে বসার পূর্বে ১০ মিনিট হাঁটলে বা হালকা ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে পড়া মনে রাখতে বেশ সুবিধা হয়।

Tuesday, September 13, 2016

চর্যাপদ

♨ চর্যাপদের প্রাককথা :
◆ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নিদর্শন – চর্যাপদ।
◆ ‘চর্যা’ শব্দের অর্থ – অাচারণ।
◆ চর্যাপদের মূল নাম – চর্যাচর্যবিনিশ্চয়।
◆ চর্যাপদ হচ্ছে – বৌদ্ধ সহজিয়াদের সাধন সঙ্গীত।
◆ চর্যাপদ অাবিষ্কার হয় – নেপালের রাজদরবার থেকে, ১৯০৭ সালে।
◆ চর্যাপদের পদগুলো রচিত – মাত্রাবৃত্ত ছন্দে।
◆ চর্যাপদের পুথিগুলো বই অাকারে প্রকাশ পায় – ১৯১৬ সালের বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে।
রচনাকাল :
◆ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, চর্যাপদের রচনাকাল – ৬৫০-১২০০ খ্রিষ্টাব্দ।
◆ ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, চর্যাপদের রচনাকাল – ৯৫০-১২০০ খ্রিষ্টাব্দ।
◆ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ চর্যাপদের রচনা সম্পর্কে মত দিয়েছেন – ভাষা ও অপরাপর লক্ষণের ওপর ভিত্তি করে।
◆ ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় চর্যাপদের রচনাকাল সম্পর্কে মত দিয়েছেন – ভাষা বৈশিষ্ট্যের অালোকে।
♨ চর্যাপদের পদকর্তা ও পদসংখ্যা :
◆ চর্যাপদের পদকর্তা হিসেবে পাওয়া যায় – মোট ২৩ জন, মতান্তরে ২৪ জনের পরিচয়।
◆ চর্যাপদের পদকর্তাদের নামের পরিচয় পাওয়া যায় – গানের মাঝে ও শেষের ভনিতা থেকে।
◆ চর্যাপদকর্তাদের নামের শেষে যোগ করা হয়েছে – গৌরবসূচক ‘পা’।
◆ চর্যাপদকর্তারা প্রায় সকলেই – বৌদ্ধ চৌরাশি সিদ্ধার অন্তর্গত।
◆ চর্যাপদের সবচেয়ে বেশি পদের রচয়িতা – কাহ্নপা।
◆ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে প্রাচীনতম চর্যাকার – শবরপা।
◆ সংখ্যাধিক্যে চর্যাগীতির দ্বিতীয় কবি – ভুসুকুপা।
◆ ভুসুকুপা ছিলেন – সৌরাষ্ট্রের রাজপুত্র।
◆ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, চর্যাপদের অাধুনিকতম পদকর্তা – সরহপা অথবা ভুসুকুপা।
◆ চর্যাপদের প্রথম পদটির রচয়িতা – লুইপা।
◆ ড. শহীদুল্লাহর মতে, চর্যাপদের পদ রয়েছে – ৫০ টি।
◆ চর্যাপদের প্রাপ্ত পদ – ৪৬.৫ টি।
◆ ড. সুকুমার সেনের মতে, চর্যাপদে পদ রয়েছে – ৫১ টি।
◆ চার্যাপদের যেসব পদ পাওয়া যায় নি – ২৪, ২৫, ৪৮ নং পদ।
◆ চর্যাপদের যে পদ খন্ডিত অাকারে পাওয়া গেছে – ২৩ নং পদ।
◆ চর্যাপদে পদকর্তার নাম থাকলেও পদ পাওয়া যায় নি – লাড়ীডোম্বীপা।
◆ নিচে পদকর্তার নাম ও পদের সংখ্যা দেয়া হলো :
➺ কহ্নপা – ১৩ টি।
➺ ভুসুকুপা – ৮ টি।
➺ সরহপা – ৪ টি।
➺ কুক্কুরীপা – ৩ টি।
➺ লুইপা – ২ টি।
➺ শবরপা – ২ টি।
➺ শান্তিপা – ২ টি।
➺ অার্যদেব – ১ টি
➺ কঙ্কণ – ১ টি
➺ কম্বলাম্বর – ১ টি
➺ গুন্ডরীপা – ১ টি
➺ চাটিলপা – ১ টি
➺ জয়নন্দী – ১ টি
➺ ডোম্বীপা – ১ টি
➺ ঢেন্ঢণপা – ১ টি
➺ তন্ত্রী – ১ টি
➺ তাড়ক – ১ টি
➺ দারিক – ১ টি
➺ ধামপা – ১ টি
➺ বিরূপা – ১ টি
➺ বীণাপা – ১ টি
➺ ভদ্রপা – ১ টি
➺ মহীধরপা – ১ টি
➺ লাড়ীডোম্বীপা – ১ টি (পদটি পাওয়া যায় নি)
♨ চর্যাপদের বিষয়বস্তু :
◆ চর্যাপদ বিধৃত হয়েছে – বৌদ্ধধর্মের তত্ত্বকথা।
◆ চর্যার প্রধান তত্ত্ব – মহাসুখরূপ নির্বাণ লাভ।
◆ চর্যাপদের যে বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে – সাধন তত্ত্ব।
◆ চর্যার অনেকগুলো পদ মুলত – গানের সংকলন।
◆ চর্যাপদের রচনার উদ্দেশ্য – ধর্মচর্চা।
♨ চর্যাপদের ভাষা :
◆ দ্ব্যর্থক ও রূপকাত্মক ও অষ্পষ্টতার জন্য চর্যাপদের ভাষাকে – সন্ধ্যা ভাষা বা সান্ধ্য ভাষা বলে।
◆ চর্যাপদে মূলত ব্যবহৃত হয়েছে – প্রাচীন বাংলা ভাষা।
◆ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, চর্যাপদের ভাষা – বঙ্গকামরূপী।
◆ চর্যাপদের ভাষায় প্রভাব রয়েছে – হিন্দি, মৈথিলী, অসমিয়া ও উড়িয়া ভাষার।
◆ চর্যাপদের কবিতাগুলো লেখা – মাত্রাবৃত্ত ছন্দে।
◆ চর্যাপদের ভাষা দুর্বোধ্য হওয়ার কারণ – তন্ত্র ও যোগের প্রতাপের জন্য।
♨ চর্যাপদের বাঙালি কবি :
◆ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে চর্যাপদের প্রাচীন কবি শবরপা ছিলেন – বাঙালি।
◆ বাঙালি চর্যাকার হিসেবে অনুমিত – লুইপা।
◆ তারানাথের মতে লুইপা বসবাস করেন – গঙ্গার ধারে।
◆ বেশিরভাগ পন্ডিতগণের মতে – ভুসুকুপাকে বাঙালি হিসেবে গণ্য করা হয়।
◆ বাঙালি চর্যাকারদের মতে – ভুসুকুপার রচিত পদ সর্বধিক (৮টি) পাওয়া যায়।
◆ প্রথম বাঙালি হিসেবে পূর্ণাঙ্গ পদ রচনা করেন – লুইপা।
♨ সহজিয়া সম্প্রদায় :
◆ সহজিয়া সম্প্রদায়ের সাধন পদ্ধতিকে বলা হয় – সহজযানপন্থী।
◆ সহজিয়া সম্প্রদায়ের সকলে – বৌদ্ধধর্মের অনুসারী।
◆ সহজিয়া সম্প্রদায় পৃথক – সাধন পদ্ধতির ভিন্নতার জন্য।
◆ সহজিয়া সম্প্রদায়ের সাথে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে – বাউল সম্প্রদায়ের।
♨ চর্যাপদ অাবিষ্কার ও অাবিষ্কারক:
◆ চর্যাপদ অাবিষ্কার হয় – নেপালের রাজ দরবার থেকে, ১৯০৭ সালে।
◆ চর্যাপদ অাবিষ্কার করেন – ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
◆ ড. হরপ্রসাদ শ্রাস্ত্রীর জন্ম – ৬ ডিসেম্বর ১৮৫৩ সালে।
◆ ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম – নৈহাটি, পশ্চিমবঙ্গ।
◆ ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর অমরকীর্তি – বাংলা ভাষার প্রথম গ্রন্থ ‘চর্যাপদ উদ্ধার।
◆ তিনি চর্যাপদ অাবিষ্কারে সফল হন – তৃতীয়বারের চেষ্টায়।
◆ তিনি অারও উদ্ধার করেন – ‘ডাবার্ণব’ ও ‘দোহাকোষ’ নামক বই।
◆ তিনি সবগুলো বই প্রকাশ করেন – ‘হাজার বছরের পুরান বাঙালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে।

◆ ‘হাজার বছরের পুরান বাঙালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ প্রকাশ পায় – বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ১৯১৬ সালে।
◆ ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর উপাধি – মহামহোপাধ্যায়।
◆ ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ছিলেন – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
◆ ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মৃত্যু – ১৭ নভেম্বর ১৯৩১ সালে।
♨ চর্যাপদের অন্যান্য তথ্য :
◆ চর্যাপদের প্রথম পদটি হচ্ছে – ‘কাঅা তরুবর পাঞ্চ বি ডাল/চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল।
◆ চর্যাপদের অানুমানিক বয়স – প্রায় এক হাজার বছর।
◆ চর্যপদে প্রবাদ বাক্য পাওয়া যায় – ৬ টি।
◆ চর্যাপদের পদগুলো টীকার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন – মুনিদত্ত।
◆ সর্বপ্রথম চর্যার ভাষাতাত্বিক পর্যালোচনা করেন – ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। Origin and Development of the Bengali Language গ্রন্থে।
◆ চর্যাপদের ধর্মমত সম্পর্কে অালোচনা করেন – ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ১৯২৭ সালে।
◆ চর্যাপদকে ভাষার অাদি নিদর্শন হিসেবে দাবি জানিয়েছে – হিন্দী, অাসামিয়া ও উড়িয়া ভাষা-ভাষীরা।

No comments:

Post a Comment