নায়ক বা নায়িকা হওয়ার স্বপ্নে বাড়ি থেকে পালানো নতুন কোনো ঘটনা নয়। তবে এদের মধ্যে খুব কমই বলিউডে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাদের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সফল কলকাতার রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে পায়েল ঘোষ। বাবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাড়ি থেকে পালিয়ে বলিউডে পা রেখেছেন সুন্দরী এই বঙ্গতনয়া। সঞ্জয় ছেল পরিচালিত ‘প্যাটেল কি পাঞ্জাবি শাদি’ ছবির মাধ্যমে হিন্দি চলচ্চিত্রের জগতে অভিষেক হলো তাঁর। এর আগে দক্ষিণে একাধিক ছবিতে নায়িকা হিসেবে দেখা গেছে তাঁকে।
![]() |
পায়েল |
পায়েল প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছোট থেকেই অভিনয়শিল্পী হওয়ার ইচ্ছা ছিল। মুম্বাইয়ের গ্ল্যামার দুনিয়া ভীষণ টানত আমায়। ছোটবেলায় মাকে হারাই। বাবা খুব চোখে চোখে রেখে মানুষ করেছেন আমাকে। বাবা কখনোই চাননি অভিনয়ে জগতে যাই। কলকাতার বনেদি পরিবারের মেয়ে আমি। তাই খুব রক্ষণশীলতার মধ্যে বড় হয়ে উঠেছি। কিন্তু একসময় নিজের স্বপ্নকে আর দমিয়ে রাখতে পারিনি। তাই বাবা এবং পরিবারের অমতে বাড়ি থেকে পালিয়ে মুম্বাই যাই। দক্ষিণে বেশ কিছু সিনেমা করার পর “প্যাটেল কি পাঞ্জাবি শাদি” ছবিতে সুযোগ পেয় যাই। তবে বলিউডে একটা কাজ পাওয়ার জন্য অনেককেই খুব কষ্ট করতে হয়। সেদিক থেকে আমি খুবই লাকি। আমাকে ততটা কষ্ট করতে হয়নি।’
পায়েল
বলিউডের এই নবাগত অভিনয়শিল্পী আরও বলেন, ‘বলিউডে প্রথম সুযোগেই পরেশ রাওয়াল, ঋষি কাপুর, প্রেম চোপড়ার মতো নামী অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। তাই আমি এ ক্ষেত্রেও খুবই ভাগ্যবতী।’
‘প্যাটেল কি পাঞ্জাবি শাদি’ ছবিতে পায়েল বলিউড তারকা বীর দাসের নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছেন। সঞ্জয় ছেলের এই রোমান্টিক-কমেডি ছবিতে অন্যান্য চরিত্রে দেখা যাবে পরেশ রাওয়াল, ঋষি কাপুর ও প্রেম চোপড়াকে। ‘প্যাটেল কি পাঞ্জাবি শাদি’ ছবিতে পায়েল এক রক্ষণশীল গুজরাটি পরিবারের ঘরোয়া মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরেশ রাওয়াল। ছবিতে পরেশ খুবই গোড়া ও রক্ষণশীল। পায়েলের সঙ্গে পাঞ্জাবের যুবক বীরের ভালোবাসা হয়। বীরের বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋষি কাপুর। ঋষি এই ছবিতে উচ্ছৃঙ্খল, মদ্যপ পাঞ্জাবি গৃহকর্তা। দুই অসম পরিবারের বিয়েকে কেন্দ্র করে যত গন্ডগোল হয়। সব মিলিয়ে ‘প্যাটেল কি পাঞ্জাবি শাদি’ আদ্যোপান্ত হাসির পারিবারিক ছবি। গতকাল শুক্রবার সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে।
No comments:
Post a Comment