![]() |
কারারক্ষী |
জেলা কোটাসমূহ: পুরুষ কারারক্ষীর ক্ষেত্রে মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর, গাইবান্ধা ও বান্দরবান জেলা ব্যতীত সব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন। অন্যদিকে মহিলা কারারক্ষীর ক্ষেত্রে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ভোলা, বরগুনা, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের যোগ্যতা : বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এই পদে আবেদন করতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই এসএসসি পাস বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বয়স সাধারণ কোটা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সন্তানের ক্ষেত্রে ০১.০৯.২০১৭ তারিখে ১৮ থেকে ২১ বছরের মধ্যে হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে বয়স একই তারিখে ১৮ থেকে ৩২ বছর। প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক ও অবিবাহিত হতে হবে। প্রার্থী যে জেলার বাসিন্দা শুধু সেই জেলার প্রার্থী হিসেবে এ পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর শারীরিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে পুরুষ প্রার্থীর উচ্চতা কমপক্ষে ১ দশমিক ৬৭ মিটার, বুক কমপক্ষে ৮১ দশমিক ২৮ সেমি. এবং ওজন কমপক্ষে ৫২ কেজি হতে হবে। অন্যদিকে মহিলা প্রার্থীর ক্ষেত্রে উচ্চতা কমপক্ষে ১ দশমিক ৫৭ মিটার, বুক ৭৬ দশমিক ৮১ সেমি. এবং ওজন কমপক্ষে ৪৫ কেজি হতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: বাছাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকালে প্রার্থীকে প্রতিটি সার্টিফিকেটের মূল কপির সঙ্গে অতিরিক্ত ১ কপি সত্যায়িত ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে। এ ছাড়া নমুনা ফরমের অনুকরণে পূরণকৃত আবেদনপত্রের সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ বা সাময়িক সনদের মূল কপি, সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত চারিত্রিক সনদের মূল কপি, জেলার স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণস্বরূপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার মেয়র বা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে স্থায়ী নাগরিকত্বের সনদের মূল কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি, ৩ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবিসহ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত কাগজপত্র সঙ্গে আনতে হবে।
বাছাই পদ্ধতি: প্রার্থীদের প্রথমে শারীরিক যোগ্যতা পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের একই দিনে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটে ৭০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। লিখিত পরীক্ষা প্রসঙ্গে কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘যেহেতু এ পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস চাওয়া হয়েছে, তাই এসএসসি উত্তীর্ণের প্রশ্নের মান যে ধরনের হয়ে থাকে, লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন তেমনই হবে।’ তিনি আরও বলেন, লিখিত পরীক্ষায় বিষয় থাকবে চারটি। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আবার ৩০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। উভয় পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম ৪৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। তবে জেলার নিয়োগযোগ্য প্রকৃত শূন্য পদের বিপরীতে কোটাভিত্তিক মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থীদের প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হবে।
বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি: চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত একজন কারারক্ষী জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ৯ হাজার টাকা স্কেলে বেতন পাবেন। এ ছাড়া বিধি মোতাবেক প্রাপ্য ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা পাবেন। আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, একজন কারারক্ষী তাঁর দক্ষতা, যোগ্যতা এবং বিভিন্ন বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী প্রধান কারারক্ষী, প্রধান কারারক্ষী, সর্বপ্রধান কারারক্ষী, সার্জন ইন্সপেক্টর পর্যন্ত হতে পারেন।
No comments:
Post a Comment