চীনের এক তরুণী একটি আইফোন ৮ হ্যান্ডসেটের জন্য নিজের সতীত্ব নিলামে তুলে জীবনের কঠিনতম এক শিক্ষা লাভ করেছে চীনের এক তরুণী। এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডেইলি মিরর।
একটি আইফোন ৮ কেনার জন্য দুই হাজার ৩০০ পাউন্ড নগদ অর্থের বিনিময়ে নিজের সতীত্ব বিসর্জন দেবেন একটি অনলাইন ফোরামে এমন অফার লিখেন ১৭ বছর বয়সী জিয়াও চেন নামের ওই তরুণী।
ওই ‘অফার’ দেখে আগ্রহী হন একজন অনলাইন এক্টিভিস্ট যিনি একটি টিভি শো এর পরিচালক। অফার দেখে তিনি ওই তরুণীর একটি সাক্ষাতকারের আয়োজন করেন।
এরপর নানা নামের ২১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি তরুণীটির সাক্ষাতকার নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে দেখা যায় তরুণীটি ওই যুবকের সঙ্গে একটি চায়ের দোকানে সাক্ষাত করেন এবং তার এক বান্ধবীর কথা সেখানে উল্লেখ করেন যিনি তাকে ‘সহজ’ অর্থ উপার্জনের এই পথ সম্পর্কে জানিয়েছিলেন।
তরুণীটি দাবি করেন যে, ওই টাকা দিয়ে তিনি একটি আইফোন ৮ অর্ডার করতে চেয়ছিলেন, যা তার অধিকাংশ বন্ধুদের ছিল। যদিও ডেইলি মিররের প্রকাশিত প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত করা ওই ভিডিও ফুটেজের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
নানা নামের ওই ব্যক্তি মেয়েটিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে সে যে কাজ করতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে সে নিশ্চিত কি না। মেয়েটি তাকে নিশ্চয়তা দিলে তিনি তাকে ৬০ পাউন্ড অগ্রিম দিয়ে চুক্তির বাস্তবায়নে স্থান ও দিন নির্ধারণ করে চলে যান।
প্রকৃত অর্থে কি ঘটতে যাচ্ছে সে বিষয়ে মেয়েটির কোন ধারণাই ছিল না। কারণ ওই ছেলেটি কাজ করতো মানুষের আচরণ ও সামাজিক অসঙ্গতি নিয়ে। মেয়েটির এই অবস্থার সুযোগ সে লুফে নিয়েছিল। সে মেয়েটিকে জনসমুখে লজ্জা দেয়ার জন্য মনে মনে একটি স্ক্রিপ্ট তৈরি করছিলো।
ঘটনার চূড়ান্ত পরিণতি হয় যখন মেয়েটি তার সতীত্ব বিসর্জন দেয়ার জন্য চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত দিনে হোটেলে গেল তারপর। রুমে গিয়ে বিশ্বাস অর্জনের জন্য নানা নামের ওই ব্যক্তি মেয়েটির হাতে আইফোন ৮ হ্যান্ডসেট দেন।
এরকিছুক্ষণ পরেই ক্যামেরা হাতে তিনজন প্রবেশ করে রুমটিতে। তিনজনই একসঙ্গে বলে ওঠে ‘চলো মজা করি।’
মেয়েটি ঘটনা বুঝতে পেরে কান্না শুরু করে দেয়। তখন নানা মেয়েটিকে বলেন, ‘অনেক দেরি হয়ে গেছে। শুধু একটি হ্যান্ডসেটের জন্য যেকোন কিছুর বিনিময় করা যায় না, এটি অর্থহীন।’ কিছুক্ষণ পর নানা বাকিদের রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন যাতে তিনি মেয়েটির সঙ্গে একান্তে কথা বলতে পারেন এবং তাকে কিছু সদুপদেশ দিতে পারেন।
No comments:
Post a Comment