আমাদের সবার ঘরেই ফ্যান আছে, তাই আমরা সবাই এটাকে চিনি। প্রথমেই ফ্যানের একটা হালকা বর্ণনা দেই। এর মাঝের যে গোল অংশটা থাকে, তাকে বলে মোটর। এটাই হচ্ছে ফ্যানের সবথেকে কার্যকরী অংশ। এটাই ইলেকট্রিসিটির সাহায্যে অনবরত ঘুরতে পারে। তবে শুধু এটা ঘুরলেই বাতাস হবে না, তার জন্য দরকার ব্লেড। ব্লেড নাম শুনে ভয় পাবেন না, এটা অতটা ধারালো না। প্রকারভেদে ফ্যানে এক থেকে ছয়টা ব্লেড থাকে। আমরা সাধারনত তিন থেকে চার ব্লেডের ফ্যান বেশি দেখে থাকি। আর একটা অংশ হচ্ছে রড। এটি ছাদ থেকে ফ্যানটাকে ঝুলতে সাহায্য করে। এই যান্ত্রিক পাখার জন্ম সুদূর আমেরিকায়, ১৮৬০ এর দশকে। তবে তখন বিদ্যুতের মাধ্যমে পাখা ঘুরতো না, পানি দিয়ে সেটা চলতো। ভাবছেন পানি দিয়ে বড়জোর পাখা ধোয়ামোছা করা যাবে, কিন্তু সেটা দিয়ে ফ্যান চালানো সম্ভব কিভাবে? খুব সম্ভব। পানির স্রোতটাকে কাজে লাগিয়ে এই কাজটি করা হত। একই পানির স্রোতকে কাজে লাগিয়ে অনেকগুলো ফ্যান ঘুরানো যেত বলে সে সময় এটি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। তবে খরচ একটু বেশি ছিল বলে শুধুমাত্র অফিস আদালত, রেস্টুরেন্ট এসব জায়গায় এটি ব্যবহার করা হতো। এরপর এলো বিদ্যুৎ চালিত ফ্যান, ১৮৮২ সালে। এটি আবিষ্কার করেন ফিলিপ ডিহল নামের এক উদ্ভাবক। তখন সবাই ফ্যানকে তার নামেই নামকরণ করে। সহজেই চালানো যায় এবং খরচে সাশ্রয়ী বলে এটি বেশ তাড়াতাড়ি জনপ্রিয় হয়ে উঠে। তবে এখনো আমেরিকার দক্ষিণ দিকের কিছু কিছু এলাকায় এখনো সেই প্রাচীনকালের ফ্যান পাওয়া যায়। তখন দুই ব্লেডের ফ্যান বেশি জনপ্রিয় ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে চার ব্লেডের ফ্যানের প্রচলন শুরু হয়। আর সেই সময়েই প্রথম আমেরিকা থেকে বাইরের বিশ্বে ফ্যান বাজারজাত করা হয়। সারা বিশ্ব হয়ে যায় ফ্যানের ফ্যান!! এখন বলি যান্ত্রিক পাখা কিভাবে কাজ করে। প্রথমে ইলেকট্রিসিটির মাধ্যমে এর মোটরটি ঘোরা শুরু করে। মোটরটি ঘুরলে এরসঙ্গে ব্লেড বা পাখাগুলোও ঘুরতে থাকে। এখন কথা হচ্ছে, বাতাসটা আসে কেন? ফ্যান কি বাতাস তৈরি করে? এর কোথা থেকে বাতাস বের হয়? না, ফ্যান মোটেই বাতাস তৈরি করতে পারে না। আপনারা হয়তো জানেন, পুরো পৃথিবীটা বাতাসে ভরা ফ্যানের পাখা শুধু বাতাসে নাড়া দেয়।পৃথিবীতে কয়েক প্রকার ফ্যান পাওয়া যায়। সবথেকে জনপ্রিয় হচ্ছে সিলিং ফ্যান। এছাড়াও আছে টেবিল ফ্যান। এটি বেশ সহজে বহনযোগ্য। ফ্যান্টাস্টিক ফ্যানতবে আধুনিক যুগে ফ্যান তার জায়গা হারাচ্ছে এয়ার কন্ডিশনারের কাছে।
No comments:
Post a Comment