............. (০১).............
সালমোণেল্লা কি ও তার চিকিৎসা !
শাল্মোণেল্লা কি ???
এটি খুবই ব্যাপক রোগ, সাধারণত এটি যা গ্রাম-ঋণাত্মক(Gram Negative) ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা ঘটিত হয় . । এই রোগ বাচ্চা কবুতরের জন্য বরং মরণশীল এবং বড়দের জন্য ও এটি খুব দ্রুত চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে. এই রোগকে বলা হয় সব রোগের জন্মদাতা, তাই এই রোগ হলে তাড়াতাড়ি নির্মূলের ব্যাবস্থা করা উচিৎ।
লক্ষণ বা কীভাবে বুঝবেনঃ
তীব্র আকারের আক্রান্তর ক্ষেতরে ।
১)ঝীমায়
২)শাষকষ্ট হয় ।
৩)সাদা আঠাল / চুনা পায়খানা করে ।
৪) গারো সবুজ পায়খানা করে ।
৫) অনেক সময় পায়খানা পিছনের পালকে লেগে থাকে ।
৬)পা খোরায় ,পাখা ঝুলে পরে ।
৭) বমি করে ।
8) খাবার খায়ণাহ , পাণি বেশী খায় ।
চিকিৎসা ও পরিমানঃ
HAMECO-PH (HOLLAND ER )
কোথায় পাওয়া যাবেঃ
যেকোনো পশুপাখির ঔষধের দোকানে ।
প্রতিরোধেঃ
প্রতি লিটার পানিতে এ ১- ২ মিলি করে ৫ দিন প্রতি মাসে ।
চিকিৎসায়ঃ ২.৫ মিলি প্রতি লিটার এ ।
পাণি কতক্ষণ দিয়ে রাখা যাবে ।
খাবার পাণি দিয়ে ৮-১২ ঘণ্টা রাখুন ।
কেণো খাওয়াবেনঃ
মূল্যঃ ১১০ টাকা
১) এইটা দামে কম ।
২) পশু পাখির জন্য তৈরি ।
৩) ভালো কাজ করে ।
৪) অভিজ্ঞ পশু পাখির ডাক্তার রা পরামর্শ দেন খাওয়াতে ।
৫) ভালো কোম্পানির তৈরি তাই গুণগত মাণ ভালো ।
৬) আমি ২ বছর ধরে প্রায় ৩০০ + কবুতরকে প্রতি মাষে খাওয়াই , ফলাফল ভালো ।
৭) এই রোগের জন্য নির্দিষ্ট একটি ওষূধ ।
৮) মানুষের বিভিন্ন ওষূড এই ক্ষেতরে যেগুলা ব্যাবহার করা হয় তা এই রোগের জন্য এমন কিছু নির্দিষ্ট লেখা নাই । তাই নিশ্চয়তা কম ।
আপনারা প্রয়োজনে ডাক্তার দের সাথে কথা বা যেনে নিতে পারেন ।
৯) যেকোনো কবুতরকে বা যেকোনো বয়সের কবুতর কে দেওয়া যাবে ।
সমস্যা বা প্রতি বন্ধকতাঃ
অনেক সময় পানি ঝাঝাল বা তিতা লাগায় এই ঔষধ মিশান পানি খেতে অনিহা প্রকাশ করে , অনেকেই এইটাকে পুজি করে এইটা না খাওয়াতে উৎসাহ দেয় যা সঠিক নয় ।
এই ক্ষেত্রে আপনি পানি দীর্ঘক্ষণ না দিয়ে পানি দিতে পারেন বা কবুতর কম হলে অই ঔষধ মিশানো পানি সিরিঞ্জ দিয়া ১০ মিলি করে খাইয়ে দিতে পারেন ।
একটু কষ্ট হলেও কবুতরের উপকারের জন্য আমাদের এইটুকু করা দরকার প্রতি মাসে ৫ দিন।
আমরা আমাদের ছোট ভাই বোন বা সন্তান তিতা ঔষধ না খেলে কি করি ????
কবুতর ও আমাদের সন্তান এর মত এর ভালোর জন্য আমরা নিশ্চয়ই একটু কষ্ট করব ইনশাআল্লাহ্ ।
আল্লাহ্ ই একমাত্র শেফা দানকারী ।
Md Kamruzzaman (vet doctor )
Shihab Pabel (vet doctor )
..............(০২)...............
স্প্লেইড লেগস বা স্প্রেডল লেগস বা বাকা পা
আলোচনার বিষয়ঃ স্প্লেইড লেগস বা স্প্রেডল লেগস।
Splayed legs or Spraddle legs: স্প্লেইড-লেগস বা স্প্রেডল লেগস হলে পা দুটো ২ পাশে ছড়িয়ে থাকবে। পাখি তার দুই পায়ে দাড়াতে পারবে না, হাটা-চলা করতে পারবে না এবং অনেক কষ্ট করে শরীর নাড়াচাড়া করবে। প্রায় অকেজ হয়ে পরবে সে, তাই একা বেচে থাকার ক্ষমতা থাকবে না। এ সমস্যা মূলত বাচ্চাদের হয় তবে আঘাতজনিত কারনে বড় পাখিরও হতে পারে।
কারণঃ
১। ডিমে তা দেয়ার সময় যথাযথ আদ্রতা বজায় না থাকলে অনেক ক্ষেত্রে পায়ের মাসল সঠিকভাবে গঠিত হয় না, তখন বাচ্চা জন্মগত ভাবে এ সমস্যা নিয়ে বড় হতে থাকে।
২। ক্যালসিয়ামের অভাবে পায়ের হাড্ডি ছোটবেলায় ঠিকমত শক্ত না হলে এমন হতে পারে। ভিটামিনের অভাবে হলে বেশিরভাগ সময় শুধু এক পা ছড়িয়ে থাকে।
৩। জন্মের পর যদি মা, বাবা বা ভাই-বোন অতিরিক্ত চাপ দিয়ে বাচ্চার উপরে বসে থাকে। তাহলে চাপের কারনে বাচ্চা ঠিকমত তার পা সোজা করার সুযোগ পায় না।
৪। চলাফেরা করা শিখতে হয় বাচ্চাদের ১৮ দিনের মধ্য। এই সময়ে বাচ্চাদের হাড়ি বা বাক্সে নড়াচড়া করা প্রয়োজন। পা দিয়ে জিনিসপত্র ধরে রাখার সুবিধা না পেলে পায়ের আঙ্গুল ঠিকমত শক্ত হতে পারবে না।
৫। যদি হাড়ি বা বাক্স পিছলা হয়। পিছলা জিনিষে বাচ্চারা দাড়াতে পারবে না। চেষ্টা করলেই পিছলে পড়ে যাবে, যার ফলে হাটা-চলার অসুবিধা হবে ও পা ছড়িয়ে থাকবে।
৬। অন্য কোন কারনে নিয়মিত পায়ের ব্যায়াম না হলে এবং বাচ্চার পা দুই পাশে ছড়িয়ে থাকলে সেই হাড্ডির বয়েস বেড়ে শক্ত হতে থাকে। বাকা পা শক্ত হলে সেই পা আর ঠিক করা সম্ভব হয় না।
প্রতিরোধঃ
১। শক্তিশালী মাসল ও হাড় গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামযুক্ত সুষম খাবার দিতে হবে।
২। পিছলা হাড়ি বা বাক্স ব্যাবহার করা যাবে না। হাড়িতে ছালা বা কাঠের তুষ দিতে পারেন যাতে সহজে দাড়াতে পারে। ৩। বাচ্চাদের বয়স ১৩ দিন হওয়ার পড়ে নিয়মিত তাদের পা দেখবেন। পায়ে যদি পায়খানা লেগে থাকে, তাহলে পরিষ্কার করতে হবে, নইলে শক্ত পায়খানা হাড্ডি ঠিকমত বড় হতে দিবে না। কুসুম-গরম পানিতে টিশু ভিজিয়ে পায়ে হাল্কা চাপ দিয়ে পায়খানা পরিষ্কার করে দিবেন।
প্রতিকারঃ কম বয়স থাকাকালীন চিকিৎসা শুরু করলে অনেক দ্রুত এই সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু বাচ্চা বড় হয়ে হাড় শক্ত হয়ে গেলে তা ঠিক হয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।
১ম পদ্ধতি – পায়ের গোড়ালি ও হাটুর মাঝের স্থানে স্টিকি ব্যান্ডেজ দিয়ে এমনভাবে পেচিয়ে দিতে হবে যাতে বাচ্চা নিজ পায়ের উপর ভর করে দাড়াতে পারে এবং নাড়াচাড়া করতে পারে। ব্যান্ডেজ যাতে দুই পাকে বেশি কাছাকাছি নিয়ে না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ২য় পদ্ধতি – মেক-আপ এর স্পঞ্জ কেটে নিয়ে, নির্দিষ্ট জায়গায় দুটি ছিদ্র করে পাখির পা দুটো ঢুকিয়ে দিতে হবে। এভাবে বাচ্চাকে ১-২ সপ্তাহ দেখাশুনা করতে হবে। হাড্ডি শক্ত হলে যখন মেক-আপ স্পঞ্জ পড়েও পাখি দাড়াতে পারবে, তখন স্পঞ্জ থেকে তার পা বের করে দিতে হবে। ৩য় পদ্ধতি – একটি নরম চুল বাধার ব্যান্ড নিয়ে স্ট্র ছোট করে কেটে সেটার ভিতর দিয়ে ব্যান্ড ঢুকিয়ে দুই কোনার ভিতর দিয়ে দুই পা ঢুকিয়ে দিতে হবে। স্ট্র এমন ভাবে কাটতে হবে যাতে বাচ্চার পায়ে তা ঘষা না খায়।
প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করলে ২-৩ দিনেই বাচ্চা সুস্থ হয়ে নিজেনিজে সঠিকভাবে হাটা শুরু করতে পারবে, অন্যথায় ১-২সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।
তথ্য সংগ্রহে -
.............(০৩)................
Bumble foot / পা ফোলা বা পায়ে ক্ষত রোগঃ
Bumble foot / পা ফোলা বা পায়ে ক্ষত রোগঃ
এই রোগ হল কবুতর এর একটি মারাক্তক ব্যাধি যা মুলত আক্রমন করে (বিশেষ করে বন্দি কবুতরের ) তালু , পায়ের গোড়ালি , হাঁটুতে বা বিভিন্ন হাড়ের জোরায় ।
লক্ষন গুলো কিকিঃ
১) চর্ম রোগ বা খোস পাঁচড়া হয়
২) পায়ের গোড়ালি বা পায়ের বিভিন্ন জায়গা ফুলে যায় ।
৩) পায়ের চাম্রা ভারি বা মোটা হয়ে যাওয়া ।
৪) পায়ের শক্তি কমে যাওয়া ও অবশ হয়ে যাওয়া বা বাকা হয়ে যাওয়া ।
৫) হাটা চলায় অনাগ্রহ ও এক জায়গায় বসে থাকা , একটু হেটে আবার বসে পরা ।
৬) পায়ের তালুতে বৃত্তাকার গোটার মতো হওয়া , তাতে অনেক সময় পুজ হওয়া বা ঘা হওয়া ।
কি কি কারনে এই রোগ হয়ঃ
সাধারণত বন্দি কবুতর এর এই রোগ বেশি হয় ।
১) কবুতর একই জায়গায় বেশিদিন দাড়িয়ে থাকলে (অনেক সময় আমাদের ধাপটি বা কবুতর এর জায়গা কম হলে হতে পারে ।
২) শক্ত ,অমসৃণ ,মেঝে বা খোপ বা খাঁচার তলদেশ ( যেখানে কবুতর দারায় )হলে ।
৩) থাকার বা দাঁড়ানোর জায়গা , ভেজা বা স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় হলে ।
৪) থাকার বা দাঁড়ানোর জায়গায় প্লাস্টিক বা রেক্সিন দিয়ে মোড়ান হলে ।
৫) অপরিষ্কার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ হলে
৬) ভিটামিন এ এর তিব্র অভাব হলে ।
৭) নিজেদের মাঝে মারামারি ।
৮ ) সবসময় কম খাবার প্রদান বা গ্রহন (অনেকেই প্রয়োজনের তুলনায় কম খাবার দেই)।
৯) প্রয়োজনের তুলনায় অধিক স্বাস্থ্য বা শারিরিক ওজন বেড়ে যাওয়া ।
১০) শারিরিক অস্বাভাবিকতা ও আঘাত পাওয়া বা আহত হওয়া থেকে ও হতে পারে ।
১১) কবুতর হাটা চলা না করার , রোদে না থাকার , প্রচুর আলো বাতাস না পেলে ও এই রোগ হতে পারে ।
মারাক্তক দিকঃ
মারাক্তক অবস্থায় অনেক সময় অভিজ্ঞ ভেট ডাক্তার দিয়ে অস্ত্রপ্রচার করে বা অপারেশন করে ব্যান্ডেজ করে রেখে ভালো হয় ।
এই রোগ সারতে অনেক সময় দেরি হয় তাই ধৈর্য ধারন দরকার ও ৭ দিনে কাজ না হলে ৭ দিন বিরতি দিয়ে আবার ৭ দিন চিকিৎসা করুন ।
অনেক সময় এই রোগ থেকে পায়ের অঙ্গ হানি হয় , পা বা আঙ্গুল পরে যায় ।
চিকিৎসা -১ ১) ROLAC 10 MG ( Ketorolac Tromethamine ) Human ২) AMOXYCILLIN / FIMOXYL 250 (Amoxicillin ) Human ৩) FUSID 40 (Furosemide ) Human
এই ৩ টি মানুষের ঔষধ এর অর্ধেক ১/২ ভাগ করে ১ ভাগ ৩০ মিলি. পানিতে মিশিয়ে ঐ পানি ১০ মিলি করে ৩ বেলা ৫ /৭ দিন খাওয়ান আলহামদুলিল্লাহ । ভালো কাজ করে ।
চিকিৎসা -২ Moxacil DT (human) ১ টি ১ লিটার এ । Two-plus (vet) 1ml / l tr . Envit C (vet) 2ml/ltr
এই ৩ টি ঔষধ ১ লিটার পানিতে পানিতে মিশিয়ে ঐ পানি ১০ মিলি করে ৩ বেলা ৫ /৭ দিন খাওয়ান আলহামদুলিল্লাহ । ভালো কাজ করে ।
পায়ে ব্যান্ড বা রিং থাকলে কেটে দিন , আগে জীবন বাঁচান ।
বিঃ দঃ আমার স্বল্প জাণা থেকে বলা , ভূল থাকা স্বাভাবিক , পরামর্শ দিন শুধ্রে নিবো ইনশাআল্লাহ। ভালো জাণে এমন কারো সাথে আলাপ করে চিকিৎসা করুন ।
..................(০৪).......................
কবুতরের ঔষধের মাসিক কোর্স এবং কৃমির কোর্স :
কবুতরের ঔষধের মাসিক কোর্স ঃ
*******************
হা এইটা বাধ্যতামূলক নয় , আপনি ভাল লাগ্লে করবেন না হলে নয় ?
******************
মাসিক কোর্স কেন প্রয়োজন ?????
অনেক সময় অনেক রোগের জীবানু শরীরে সুপ্ত অবস্থায় থাকে, এবং কবুতরকে ভিটামিন এর অভাব জনিত রোগ, ক্রিমি মুক্ত ও সঠিক দৈহিক বৃদ্ধি নিশ্চিত রাখতে মাসিক কোর্সের গুরুত্ব অনেক। নতুবা হটাত রোগের আক্রমনে অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে আপনার ভালবাসার কবুতরের ।
*******************
আমরা লাখ টাকা খরচ করতে পারি
কিন্তু প্রতি মাসে ৫০০ টাকার ঔষধ কবুতরকে খাওয়াতে পারিনা ।
হ্যাঁ পারি কখন ???
যখন পুরা পাল মইরা শেষ ।
বেশী নয় এই ৪/৫ টা ওষুধ প্রতি মাসে ৫ দিন করে ,আমরা খাওয়ালে অন্তত মহামারি হবে নাহ ইনশাআল্লাহ ।
*******************
তারিখ অনুযায়ী যদি দিতে বা খাওয়াতে চাই ?????
আমরা একটি মাস ৩০ দিন হিসাবে
১ নং ১-৫ তারিখ পর্যন্ত ।
২ নং ও ৩ নং একসাথে ৬-১০ তারিখ পর্যন্ত।
৪ নং ১১-১৫ তারিখ পর্যন্ত ।
৫ নং ১৬-২০ তারিখ পর্যন্ত ।
৬ নং ২১-২৫ তারিখ পর্যন্ত ।
৭ নং এভিনেক্স ৬০-৯০ দিন পর পর যেকোনো ১-৫ দিন পর্যন্ত ।
**********************
১) HAMECO PH :
সালমোণেল্লার জন্য , চুনা পায়খাণা , সবুজ পায়খাণা , লোম ফুলিয়ে বসে থাকে, খাবার খায় নাহ , ঝিমায় , খাবার খায়ণাহ শুধু পানি খায় ।পানির মতো পাতলা পায়খানা ,বমি করে ।
এইটাই ৯০ %রোগের জনক ।
প্রতি লিটার পানিতে ১-২ মিলি hameaco PH মিশিয়ে ৫ দিন খাওয়ান । অনেক সময় পানি তিতা লাগায় কম খেতে চায় , তাই পানি পিপাসা লাগিয়ে বা দীর্ঘক্ষণ পানি না দিয়া অশুধ এর পানি দিন তখন পানি খাবে ।
কবুতর কম হলে অই পানি প্রতি কবুতরকে ১০ মিলি করে সিরিঞ্জ এ করে খাওয়ান ।
শাল্মোণেল্লা কি ???
এটি খুবই ব্যাপক রোগ, সাধারণত এটি যা গ্রাম-ঋণাত্মক(Gram Negative) ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা ঘটিত হয় . । এই রোগ বাচ্চা কবুতরের জন্য বরং মরণশীল এবং বড়দের জন্য ও এটি খুব দ্রুত চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে. এই রোগকে বলা হয় সব রোগের জন্মদাতা, তাই এই রোগ হলে তাড়াতাড়ি নির্মূলের ব্যাবস্থা করা উচিৎ।
লক্ষণ বা কীভাবে বুঝবেন ঃ
তীব্র আকারের আক্রান্তর ক্ষেতরে ।
১)ঝীমায়
২)শাষকষ্ট হয় ।
৩)সাদা আঠাল / চুনা পায়খানা করে ।
৪) গারো সবুজ পায়খানা করে ।
৫) অনেক সময় পায়খানা পিছনের পালকে লেগে থাকে ।
৬)পা খোরায় ,পাখা ঝুলে পরে ।
৭) বমি করে ।
8) খাবার খায়ণাহ , পাণি বেশী খায় ।
চিকিৎসা ও পরিমান ঃ
HAMECO-PH (HOLLAND ER )
কোথায় পাওয়া যাবে ঃ
যেকোনো পশুপাখির ঔষধের দোকানে ।
প্রতিরোধে ঃ
প্রতি লিটার পানিতে এ ১- ২ মিলি করে ৫ দিন প্রতি মাসে ।
চিকিৎসায় ঃ ২.৫ মিলি প্রতি লিটার এ ।
পাণি কতক্ষণ দিয়ে রাখা যাবে ।
খাবার পাণি দিয়ে ৮-১২ ঘণ্টা রাখুন ।
কেণো খাওয়াবেন ঃ
মূল্য ঃ ১১০ টাকা
১) এইটা দামে কম ।
২) পশু পাখির জন্য তৈরি ।
৩) ভালো কাজ করে ।
৪) অভিজ্ঞ পশু পাখির ডাক্তার রা পরামর্শ দেন খাওয়াতে ।
৫) ভালো কোম্পানির তৈরি তাই গুণগত মাণ ভালো ।
৬) আমি ২ বছর ধরে প্রায় ৩০০ + কবুতরকে প্রতি মাষে খাওয়াই , ফলাফল ভালো ।
৭) এই রোগের জন্য নির্দিষ্ট একটি ওষূধ ।
৮) মানুষের বিভিন্ন ওষূড এই ক্ষেতরে যেগুলা ব্যাবহার করা হয় তা এই রোগের জন্য এমন কিছু নির্দিষ্ট লেখা নাই । তাই নিশ্চয়তা কম ।
আপনারা প্রয়োজনে ডাক্তার দের সাথে কথা বা যেনে নিতে পারেন ।
৯) যেকোনো কবুতরকে বা যেকোনো বয়সের কবুতর কে দেওয়া যাবে ।
সমস্যা বা প্রতি বন্ধকতা ঃ
অনেক সময় পানি ঝাঝাল বা তিতা লাগায় এই ঔষধ মিশান পানি খেতে অনিহা প্রকাশ করে , অনেকেই এইটাকে পুজি করে এইটা না খাওয়াতে উৎসাহ দেয় যা সঠিক নয় ।
এই ক্ষেত্রে আপনি পানি দীর্ঘক্ষণ না দিয়ে পানি দিতে পারেন বা কবুতর কম হলে অই ঔষধ মিশানো পানি সিরিঞ্জ দিয়া ১০ মিলি করে খাইয়ে দিতে পারেন ।
একটু কষ্ট হলেও কবুতরের উপকারের জন্য আমাদের এইটুকু করা দরকার প্রতি মাসে ৫ দিন ।
আমরা আমাদের ছোট ভাই বোন বা সন্তান তিতা ঔষধ না খেলে কি করি ????
কবুতর ও আমাদের সন্তান এর মত এর ভালোর জন্য আমরা নিশ্চয়ই একটু কষ্ট করব ইনশাআল্লাহ্ ।
আল্লাহ্ ই একমাত্র শেফা দানকারী ।
২) CALPLEX / CALCIUM :
ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি পূরণ করবে ।
ভিটামিন ডি/ক্যাল্সিফেরল এর ঘাটতি: হাড় নরম ও বাঁকা হয়ে যায়, ক্যালসিয়াম এর শোষণ কমে যায় তাতে হাড়ের গঠন ও ডিম উৎপাদন ও তা দেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়। সমাধান ঃ ভিটামিন ডি ও মিনারেল প্রিমিক্স প্রদান, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার প্রদান করতে হবে। ক্যালপ্লেক্স (এক্স ভেট জার্মান, স্কয়ার ফার্মা) ২ মিলি/১লিটার পানিতে মিশিয়ে অথবা ইএস-এডিই (স্কয়ার ফার্মা) ১মিলি/২লিটার পানির সাথা ৮ ঘন্টা হিসেবে খাওয়াতে পারেন।)
প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি মিশিয়ে ৫ দিন খাওয়ান ।
৩) PRITHI WS / B COM VIT -/THIAVIN / VITAMIN B1,B2,B6 :
ভিটামিন বি ১/ থায়ামিন:
ঘাড়ের পক্ষাঘাতের ফলে ঘাড় পেছন দিকে করে আকাশের দিকে মুখ করে থাকে, চলনে অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়। পা, ডানা ও ঘাড়ে পক্ষাঘাত হয়। থায়ামিন টি সি এ সাইকেল এর এক টি গুরুত্ব পূর্ণ উপাদান যা কার্বোহাইড্রেট মেটাবলিজম ও শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে।
সমাধান ঃ
ভিটামিন বি ১ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও মিনারেল প্রদান। প্রিথি ডাব্লিউ (স্কয়ার ফার্মা।)এস ১ গ্রাম/ ১ লিটার পানির সাথে মিশিয়ে ৮ ঘণ্টা হিসেবে খাওয়াতে পারেন।
ভিটামিন বি ২/ রাইবোফ্ল্যাভিনঃ ছানার পা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়। পরে নখ বা আঙ্গুল বাঁকা হয়ে যায়। ছানার দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। সমাধান
ঃ ভিটামিন বি ২ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও মিনারেল প্রদান করতে পারেন। প্রিথি ডাব্লিউ এস (স্কয়ার ফার্মা।) ১ গ্রাম/ ১ লিটার পানির সাথে মিশিয়ে ৮ ঘণ্টা হিসেবে খাওয়াতে পারেন।
ভিটামিন বি ৬/পাইরোডক্সিন: ছানার বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, ক্ষুধামন্দ্যা দেখা দেয়, প্যারালাইসিস ও পেরোসিস হতে পারে। সমাধান ঃ ভিটামিন বি ৬ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও মিনারেল প্রদান করতে পারেন। প্রিথি ডাব্লিউ এস (স্কয়ার ফার্মা))১ গ্রাম/ ১ লিটার পানির সাথে মিশিয়ে ৮ ঘণ্টা হিসেবে খাওয়াতে পারেন।
৪) E SELL / VITAMIN E :
ভিটামিন ই/টোকোফেরল : ডিমের উর্বরতা কমে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। এনসেফালোম্যালাশিয়া রোগ হয়, পক্ষাঘাতের ফলে চলতে অসঙ্গতি দেখা দেয়। বুক ও পেটের নিচে তরল পদার্থ জমে, ইডিমা হয়। সমাধান ঃ সেলিনিয়ামসহ ভিটামিন ই প্রদান করতে হবে। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে। ই সেল পাউডার/লিকুইড (স্কয়ার ফার্মা) ১মিলি/১লিটার পানির সাথে মিশিয়ে ৮ ঘণ্টা হিসেবে খাওয়াতে পারেন।
৫) Rena WS / MULTI VITAMIN :
বিভিন্ন ভিটামিন এর ওভাব রোধ করবে ।
যেমন , বি ১ ,বি ২ ,এ্ ,সি ,কে , বি ৯ , বি ১২ ।
প্রতি লিটার এ ২ গ্রাম মিশিয়ে ৫ দিন খাওয়ান প্রতি মাসে ।
৬)হামদর্দ এর কারমিনা ঃ
হজম শক্তি বাড়ায় , রুচি বাড়ায় , খাবারে অনীহা কমায় ।
প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি ঔষধ দিয়ে ৫ দিন খাওয়ান ।
*****AVINEX -/ELCARIS/ POULNEX
কৃমির লক্ষণ ঔষধ খাওয়ানোর নিয়ম ঃ
ক্রিমির কিছু লক্ষন -
অনেক দিন ধরে পাতলা পায়খানা, বেশি পানি পান করা, ডানা ঝুলে যাওয়া, ওজন কমে গিয়ে বুকের হাড্ডি বের হয়ে আসা, চুপচাপ বসে থাকা শুধু খাওয়ার সময় উঠা, উতপাদন কম হয়া, ডিম না দেয়া, পায়াখানার সাথে ক্রিমি আসা বা পরা ।
কখন করাবেন কোর্স ঃ
ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় , খালি পেটে করান ।
গরমের দিনে করালে খুব ভোরে বা অনেক রাতে যখন খাবার হজম হয়ে যায় , প্রয়োজনে অই দিন খাবার একটু আগে দেওয়া ভাল তাতে রাতে খাবার আগে হজম হবে ।
অবশ্যই সুস্থ কবুতরকে করাতে হবে ।
অথবা গরমের দিনে হাল্কা বৃষ্টি হচ্ছে এমন আবহাওয়ায় দেওয়া ভাল ।
একটানা ৩/৪ দিন বৃষ্টি হয় তখন না দেওয়া উচিৎ।
************
১)
পূর্ব ও পরবর্তী করিনিও ঃ
লিভার টনিক ও সেলাইন ঃ
লিভা ভিট, লিভা টন বা ইকটার্ন দিনার হামদারদ (অইগুলা না পেলে) দিতে পারেন ।
সেলাইনঃ
ইলেক্ত্রমিন বা গ্লুকলাইট দিতে পারেন ।
কৃমির ঔষধ দেওয়ার আগে ২ দিন ঔষধ দেওয়ার দিন দেওয়ার পর আরও ২ দিন দিতেয় পারলে ভাল ।
আর না পারলে লিভার টনিক ও স্যালাইন ওষুধ দেওয়ার দিন , এর পর আরও দুইদিন খাওয়ান ।
নিয়মঃ
১ লিটার পানিতে ২ মিলি/ গ্রাম করে মিক্স করে অই পানি খাবার পানি হিসাবে খেতে দিন ।
যেহেতু এই কোর্স এ লিভার এ চাপ পরে তাই এইটা করা ভাল ।
২) দৈহিক ওজন অনুসারে ঔষধের পানির পরিমাপ নির্ণয়ঃ
কবুতরের আনুমানিক ওজন ২০০-৩০০ গ্রাম হলে ১০ মিলি ।
দৈহিক ওজন ৩০০-৫০০/৭০০ গ্রাম হলে ১৫-২০ মিলি করে খাওয়ান ।
৩) ক্কৃমির কি ঔষধ দিতে বা খাওয়াতে পারিঃ
Elcaris vet (square )
Poulnex (Novartis )
Avinex ( Reneta )
৪) ঔষধ তৈরির নিয়মাবলি ও পরিমাপঃ
ঔষধ ১ লিটার পানিতে ২ গ্রাম ঔষধ মিশিয়ে অই পানি প্রতি কবুতরকে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় খালি পেটে ১০ মিলি করে সিরিঞ্জ দিয়ে খাইয়ে দিন ।
কবুতরের আনুমানিক ওজন ২০০-৩০০ গ্রাম হলে ১০ মিলি ।
দৈহিক ওজন ৩০০-৫০০/৭০০ গ্রাম হলে ১৫-২০ মিলি করে খাওয়ান ।
৫) কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর পদ্ধতিঃ
ঔষধ এর পানি দিয়ে রাখলে অনেক সময় অনেকে বেশি পানি খায় , অনেকে কম খায় , অনেকে খায়নাহ তাই ঝামেলা হয় ।
যেহেতু ৬০/৯০ দিন পর পর তাই একটু কষ্ট হলে ও ধরে সিরিঞ্জ দিয়ে খাওয়ানো ভাল ।
৬) কতক্ষন পর কি করতে হবেঃ
ঔষধ খাওয়ানোর ৩ ঘণ্টা পর লিভার টনিক / লিভা ভিট বা লিভা টন বা হামদারদ এর ইকটার্ন দিনার ২ মিলি আর ইলেকট্রমিন স্যালাইন ২ গ্রাম করে ১ লিটার পানিতে মিক্স করে খেতে দিন । কৃমির ওষুধ দেওয়ার পর বমি করতে পারে । আল্লাহ্ ভরসা ভয় পাবেন নাহ । আর ওষুধ দেওয়ার ৫ ঘণ্টা পর খাবার দিন এর আগে না দেওয়া ভাল । আর অই দিন ৩/৫ ঘণ্টা পর কবুতরের খাঁচা , খাঁচার নিচের ময়লা , ট্রে পরিষ্কার করুন।
৭) এক কোর্স থেকে আরেক কোর্স এর মেয়াদঃ
৬০-৯০ দিনের মধ্যে একবার করে এই কোর্স করা ভাল ।
8) কাদের জন্য নিশেধঃ
২/১ দিনে ডিম দিবে বা ২/৭ দিনের বাচ্চা আছে এমন কবুতর বা অসুস্থ কবুতর কে এই কোর্স করা যাবে নাহ ।
৯)যারা বাদ পরবে তাদের কি করবেনঃ
পরে তারা ডিম পাড়লে ৪/৫ দিন পর আর বাচ্চা ৮/১০ দিন বয়স হলে তাদের বাবা মা কে এবং অসুস্থ কবুতর সুস্থ হলে বা নতুন কবুতর কিণে আণলে কৃমির লক্ষণ থাকলে ,আলাদা করে ওষুধ খাইয়ে নিবেন ।
১০) কয়দিন দিবেন বা করাবেনঃ
৬০-৯০ দিনে ১ দিন ১ বার/ ১ বেলা দিবেন কখনোই ২ দিন বা দুই বেলা দিবেন নাহ ।
বিঃ দঃ
এইখানে যে কোম্পানির ঔষধ এর নাম দেওয়া হইছে তা আমি ব্যাবহার করি , কিন্তু আপনি যেকোনো কোম্পানির ঔষধ ব্যাবহার করতে পারেন ।
আমার লেখার উদ্দেশ্য হল আপনাকে একটা ধারণা দেওয়া ।
ওষুধ গূলো ব্যাবহার করে , রোদ থেকে দূরে , শুষ্ক আবহাওয়ায় রাখুন , বাতাস না ঢূকে এমন ভাবে রাখুন ভালো থাকবে ।
লিকুইড ঔষধ ফ্রিজ নরমাল এ রাখলে ও ভাল থাকে বলে জানি ।
আমার জানা খুব কম , যারা ভাল জানে তাদের পরামর্ষ নিয়ে চিকিৎসা করুন ।
তাদের সাথে আলোচনা না করে বা বিভিন্ন গ্রুপ এ পোস্ট না করে ,আমার পরামর্শে চিকিৎসা করবেন নাহ ।তারা সময় না পেলে ৭ দিন অপেক্ষা করুন । তবুও ভুল চিকিৎসা করবেননা , অথবা যাচাই করে চিকিৎসা করুন ।
.....................().....................
কবুতরের ঠাণ্ডা রোগ সংক্রান্ত কিছু টিপস
যাদের বেশি পরিমাণ কবুতর , ঠাণ্ডায়,বেশি আক্রান্ত তারা এই ট্রিটমেন্ট করতে পারেন ৩ টা ওষুধ একসাথে খাওয়াতে হবে ।
লক্ষণ:- ১)ঠাণ্ডা হাঁচি কাশি । ২) হা করে শ্বাস নেয়া । ৩) নাক ও মূখ দিয়া পানি পরা ৪) চোখ দিয়া পানি পরা । চিকিৎসা:- A) ঈশটীয়াজেণ ভেট,৫০ গ্রাম প্রতিরোধ ১ গ্রাম প্রতি ২ লিটার পানি । চিকিৎসায় ১.৫ গ্রাম :প্রতি ২ লিটার পানি। মূল্য ৬০০ টাকা। B) কটরা ভেট প্রতিরোধ ৫০ গ্রাম -১ গ্রাম প্রতি ২ লিটার পানি । চিকিৎসায় ১.৫ গ্রাম : প্রতি ২ লিটার পানি . মূল্য ৯৫ টাকা। C) মিউ কস পেল ১০০ গ্রাম -প্রতিরোধ ১ গ্রাম প্রতি ২ লিটার পানি । চিকিৎসায় ১.৫ গ্রাম :প্রতি ২ লিটার পানি . মূল্য ৯৫ টাকা ৫-৭ দিন খাওয়ান
সাধারণ ঠাণ্ডায়ঃ ১) মানুষের এডো ভাস সিরাপ ২/১ মিলি. করে ৩ বেলা দিলে ভাল কাজ করে ২/৩ দিন । ২) যদি ঠাণ্ডার সাথে কফ থাকে মানুষের SQUARE ER AMBROX syrap ৩/১ মিলি. করে 2/3 দিন দিলে ভাল কাজ করে । ৩) RESPIRON vet এইটি ৩/১ মিলি. করে ৩ বেলা ৩/৪ দিন দিলে ভাল কাজ করে । অথবা
ক) কটরা ভেট প্রতিরোধ ৫০ গ্রাম -১ গ্রাম প্রতি ২ লিটার পানি । চিকিৎসায় ১.৫ গ্রাম :প্রতি ২ লিটার পানি মূল্য ৯৫ টাকা।
খ) মিউ কস পেল ১০০ গ্রাম -প্রতিরোধ ১ গ্রাম প্রতি ২ লিটার পানি । চিকিৎসায় ১.৫ গ্রাম :প্রতি ২ লিটার পানি . মূল্য ৯৫ টাকা ৫-৭ দিন খাওয়ান।
অনুরোধঃ- আমার জ্ঞান খুবই সীমিত। যারা ভাল জানে তাদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করুন । তাদের সাথে আলোচনা না করে এই চিকিৎসা করবেন না। তারা সময় না পেলে ৭ দিন অপেক্ষা করুন, কবুতর মারা যাক । তবুও ভুল চিকিৎসা করবেননা ।
No comments:
Post a Comment