সেবার সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির সরকারের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সেবা। ডিপথেরিয়া, হুপিং কফ, ধনুষ্টংকার, যক্ষ্মা, পোলিও এবং হাম, শিশুদের এই ৬টি রোগের প্রতিষেধক টিকাদান কর্মসূচি। পরবর্তীতে ইনফ্লুয়েঞ্জা, হাম ও রুরেলা রোগ যুক্ত করা হয়। এসব রোগ টিকাদানে প্রতিরোধ যোগ্য। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির মধ্যে কেবল পোলিও টিকা মুখে খাওয়ানো হয়, বাকি সবগুলিই ইনজেকশন। পোলিও টিকার তিন ডোজের মধ্যে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি তৃতীয় ডোজটি দেয়। প্রথম দুটি ডোজ দেওয়া হয় পোলিও নির্মূল কর্মসূচির বিশেষ কার্যক্রমের অধীনে। ১৯৯৫ সালে সরকারের গৃহীত এই শেষের কর্মসূচি প্রত্যেক বছর দুই দিন জাতীয় টিকাদান দিবস হিসেবে নির্ধারিত আছে, যা ব্যাপক অংশগ্রহণের সুবিধার্থে শীতকালের শুষ্ক মাসগুলিতেই পালিত হয়। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির জন্য সার্বজনীন শিশু টিকাদানে আজ বাংলাদেশ অনন্য সাফল্য অর্জন করেছে। প্রধানত সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কল্যাণেই ১৯৯৭ থেকে ২০০২ পর্যন্ত বহু লক্ষ শিশুর মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
সেবার সুবিধা:
• এই কর্মসূচির অধীনে শিশুদের ছয়টি মারাত্মক রোগের টিকা দেয়া হয়
• এই কর্মসূচির সফলতার জন্য শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমে গেছে
• শিশু অন্ধ, বিকলাঙ্গ বা পঙ্গু হওয়া সম্ভাবনা অনেক কমে যায়
• শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়
• ছয়টি মারাত্মক রোগ থেকে শিশু নিরাপদ থাকে
প্রক্রিয়া:
এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় প্রচার মাধ্যম ও সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কর্মীরা ব্যাপক প্রচার করে থাকে। নির্ধারিত দিনে টিকাদান কেন্দ্রে অথবা হাসপাতালে ০-১১ মাস বয়সি শিশুদের নিয়ে আসতে হয়। কর্মসূচি অনুযায়ী যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টংকার, হুপিং কাশি, পোলিও, হেপাটাইটিস বি, হিমো-ইনফ্লুয়েঞ্জা বি, হাম ও রুরেলা এই ৯টি রোগের প্রতিষেধক টিকা প্রয়োগ করা হয়। টিকা প্রদানের পর নতুনদের পরবর্তী টিকাদানের তারিখ উল্লেখ করে টিকাদান কার্ড দেওয়া হয়। সেই সাথে পুরাতনদের কার্ডে পরবর্তী টিকাদানের তারিখ উল্লেখ করা হয়। ১৫-৪৯ বছরের মহিলাদের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ৫ ডোজ টিটি টিকা প্রদান করা হয়ে থাকে।
No comments:
Post a Comment