কবিতাঃ শুভ্রনীলা-৩
কলমেঃ সুমন সাহা
শুভ্রঃ
সমুদ্র সৈকতকে প্রথম বারের মতো অন্তঃসার শূণ্য মনে হলো।
সকল বন্ধুরা যখন আনন্দে মসগুল,
আমি তখন আত্মহারা।
একাকী শঙ্খচিলের মতো শূণ্যে দৃষ্টি!
উদাসী বাউল হওয়ার উপক্রম।
নাম না জানা সেই অষ্টাদশীর
অনাকাঙ্খিত ভাবনার এলোমেলো উঁকিঝুঁকি:
পাগল প্রায় অবস্থা।
এমন কি হলো আমার?
সবকিছু এলোমেলো লাগছে কেনো?
অস্পষ্ট ভাবনার বিচরণে রক্তাক্ত হৃদয়।
সম্মুখপানে জলপর্দার মতো তার অবয়ব।
এ যেন আকাশের গাঢ়তায় মিলিয়ে যাওয়া
কোন নিঃসঙ্গ বলাকার অার্তনাদ।
কল্পনারা আড়াল করছে আমায়,
মেয়েটির নিঃষ্পাপ চাওনি,
নিরাপদ আশ্রয়ের খুঁজে বুকের পাঁজরে মুখ গুজা।
এ সবই কি প্রেমের ধারাপাত?
হৃদ-রাজ্যে যে তার একছত্র দৌরাত্ম।
জলতটে তার মুখের মায়া,
লেপ্টে থাকে সারা বেলা।
সন্ধ্যা নামার আগেই স্মৃতিরা মন-মন্দিরে ভীর জমায়,
বাড়ায় 'তুমি' নামের ব্যাকুলতা!
আর আমি ক্রমশ মাতাল হচ্ছি,
হাড়িয়ে যাচ্ছি;
তলিয়ে যাচ্ছি তার রক্তিম প্রেম গঙ্গায়।
ভাবছি, ফিড়েই মেয়েটাকে খুঁজে বার করব।
কিন্তু সে যে অধরা জলরাশি।
এখানে সেখানে হূর্নি হয়ে খুঁজেও
কোন ঠিকানা জানা গেল না।
কোথায় হাড়িয়ে গেলে তুমি?
আচ্ছা!
তোমার মনে ও কি 'আমি' নামের ডঙ্কা বাজছে?
এ দু'টি তৃষাতুর চোখ যে তোমার তরে অশ্রু সজল।
মেঘদূতের মেঘে মেঘে ভাসিয়ে দিলাম আমার শৈল্পিক অনুভূতিগুলো,
খুঁজে নিও, কুঁড়িয়ে নিও, ফুড়িয়ে যাওয়ার আগে।
No comments:
Post a Comment