বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অসীম শক্তিতে মানুষ আজ পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় এনে ফেলেছে। তাদের অবদানে মানুষ চাঁদে পর্যন্ত পদার্পণ করেছে।
এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যানে মানুষে জীবনযাত্রা সহজতর হয়ে উঠেছে। তাদের নিত্যনতুন আবিষ্কার দিন দিন বেড়ে চলছে। এবার তারা আবিষ্কার করল এক বিষ্ময়কর ঘর। হাঙ্গেরিতে তৈরি হওয়া কাঁচের এ ঘরটি বিশ্বের প্রথম ঘর। যার পুরোটাই নির্মিত হয়েছে পানির নিচে।
৩৩ বছর বয়সী হাঙ্গেরির এক স্থপতি মাতিয়াস গুতাই’র এক উদ্ভাবনের ওপর ভিত্তি করে এই বাড়িটি নির্মাণ করেছেন। হাঙ্গেরির কেন্দ্রীয় এলাকায় নির্মিত এই বাড়িটি ১০ বর্গ মিটার আয়তনের বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। হাঙ্গেরির এই স্থপতি মাতিয়াস গুতাই স্থাপত্যে পানির কার্যকর ব্যবহার নিয়ে বিগত ১০ বছর যাবত কাজ করছেন।
তিনি দীর্ঘদিন গবেষণা চালিয়ে পরিকল্পিতভাবে পানির বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। তিনি পানির এই বাড়িটিতে দুইপাশে ২টি কাঁচ ব্যবহার করেন। এরপর বাইরের ও ভিতরের কাঁচের পৃষ্ঠ দিয়ে কয়েক সেন্টিমিটার পুরু পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করেন। এই স্থপতি শুধু পার্শ্ববর্তী দেয়ালগুলো না, বাড়িটির মেঝে ও ছাদও একই পরিকল্পনায় তৈরি করেন।
তার প্রবাহিত পানির এই ধারা পৃথিবীর ৭৩ শতাংশ ভূভাগ ঢেকে রাখা পানির মতোই একই অনুভূতি তৈরি করেছে। এতে করে স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন গুতাই। স্থপতি মাতিয়াস গুতাই এর আবিষ্কার বড় কাঁচের দেওয়ালযুক্ত যেকোনো ভবনের ক্ষেত্রেই সাফল্যজনকভাবে ব্যবহার করা যাবে- এমনটাই জানিয়েছেন গুতাই। এই পানির এই বাড়িটি তৈরি করতে বুদাপেস্ট প্রযুক্তি এবং অর্থনীতি বিশ্ববিদ্যালয় ও টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেছে। অপরদিকে এই বাড়িটি তৈরি করতে যে খরচ হয়েছে তার ৬৭ শতাংশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন বহন করেছে। যার পরিমাণ ১ লাখ ৫৩ হাজার ডলার।
No comments:
Post a Comment