eBongBD.com

"All about things for easy life"
This is a website about solution of our daily problems. You can get here all Problem's solution.

Breaking

পড়ার টেবিলে বসার পূর্বে ১০ মিনিট হাঁটলে বা হালকা ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে পড়া মনে রাখতে বেশ সুবিধা হয়।

Sunday, October 22, 2017

ঘড়ি আবিষ্কারের গল্প

সময়কারো জন্য অপেক্ষা করে না। তাই সময়কে ধরে রাখার প্রচেষ্টা ছিল মানুষের যুগযুগ ধরে। কখনো তারা দিন রাতকে ভাগ করেছিল খণ্ড খণ্ড ভাগে সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা, রাত, কখনো সূর্য দেখে, কখনো চন্দ্র দেখে, কখনো শুধু অনুমানের ওপরনির্ভর করে। কিন্তু কিভাবে কে কখন ঘড়ি আবিষ্কার করেছিল তা কিন্তু কোথাওলেখা নেই ইতিহাসে পাতায় কিন্তু এ কথা সকলেরই জানা এর পিছনে আছে তিন হাজারবছরের ইতিহাস। ওই সময়ে মিসরীয়রা আবিষ্কার করল জমি মাপজোক করার পদ্ধতি আরমাপজোক সম্পর্কে তাদের মধ্যে ধারণা জন্মে গেল সময়কেও তারা পরিমাপ করতে চাইল।

 

আসল ‘সূর্যঘড়ি’ বা ‘ছায়াঘড়ি’। ‘সূর্যঘড়ি’ বানাতে তখন মানুষ একটা লাঠিপুঁতে রাখল খোলা জায়গায়। তারপর সেই লাঠিকে ঘিরে ছোট বড় নানা চক্র দিয়ে দেয়।চক্রর ওপর লিখে রাখে বিভিন্ন সংকেত যা দিয়ে নানা প্রহর বোঝায়। লাঠির ওপরসূর্যের আলো পড়লে সেই আলো পড়ত মাটিতে সেখান থেকে সংকেত নির্দেশিত চক্রে আরসেখান থেকে সময় নির্ধারণ হতো। এমন একটি ঘড়ি আজো কিন্তু বার্লিন মিউজিয়ামেরক্ষিত। দিনের বেলা না হয় সূর্যের আলো দেখে সময় পাওয়া গেল কিন্তু রাতেরবেলা কিভাবে সময় পাওয়া যাবে ভাবিয়ে তুলল মানুষকে। চোখ গেল রাতের আকাশে।তারা রাতের আকাশে এমন এক নক্ষত্রের সন্ধান করতে লাগল যা সব সময় এক দিক থেকেঅন্যদিকে যাবে।অবশেষে পাওয়া গেল। দেখতে খুব উজ্জ্বল আর একটু লম্বা।এটা আকাশের উত্তর দিকে ওঠে আর ধীরে ধীরে দক্ষিণ দিকে এগিয়ে যায়, শুধু তাইনা তারা মেরুকে কেন্দ্র করে ঘড়ির কাঁটার মতো ঘুরতে থাকে যা দিয়ে অনায়াসেসময় নির্ধারণ করা যায়। এর নাম ‘ক্যাসিওপিয়া’। দেখতে অবিকল ইংরেজি ড অক্ষরেরমতো।

 

এই ‘তারাঘড়ি’ প্রথম আবিষ্কার করে জার্মানরা। তারা ঘড়ির পর আসে ‘পানিঘড়ি’। খ্রিস্টপূর্ব ১৪০০ সাল নাগাদ মিসরীয়রা প্রথম পানি ঘড়ি আবিষ্কারকরেন। কিভাবে কাজ করত ‘পানিঘড়ি’? একটি ফানেলের মধ্যে পানি ভরা হলো, সেইফানেলের নিচে লাগানো হলো এক সরু পাইপ। ফানেলের পানি এক সরু পাইপ বেয়ে যেয়েপড়ত একটি জারে। সেই জারের মধ্যে একটা হাল্কা কর্ক রেখে দিত তারা। পাত্রেরঅপর প্রান্তে লাগিয়ে দেয়া হতো দাঁতযুক্ত একটা সময় নির্দেশক কাঁটা। ফানেলথেকে ধীরে ধীরে পানি চলে আসত জারে, জারে যত পানি পড়ত কর্ক ততই ভেসে উঠত।সেই সঙ্গে সময় নির্দেশক কাটা ঘুরতে আরম্ভ করত। যা বলে দিত সময়। গ্রিকরা একেবলত ‘ক্লিপসেড্রা’। এরপর এল ‘বালুঘড়ি’। প্রায় বারোশ’ বছর আগে এর প্রচলনশুরু হয়। বালুঘড়ি ছিল কিছুটা পানিঘড়ির মতো। তবে এ ঘড়ির জন্য প্রয়োজন হয়একটা ফানেল যার মাঝখানটা চ্যাপ্টা। এবার ফানেলের ওপর দিয়ে কিছুটা বালিফানেলের মধ্যে ঢেলে দিল, সেই বালি ফানেলের মাঝখানে যেয়ে বাধা পেল।অপেক্ষাকৃত সরু ও মিহি দানার বালি ফানেলের চ্যাপ্টা অংশ দিয়ে নিচে পড়া শুরুহলো। ফানেলের নিচের অংশে আকা থাকত স্কেল। বালুর জমা হওয়ার পরিমাণ নির্ণয়করত নির্দিষ্ট সময়। রাতের বেলা মানুষ ঘড়ির বিকল্প হিসেবে মানুষ আবিষ্কারকরে ফেলল ‘মোমঘড়ি’। চীন দেশেই প্রথম আবিষ্কার হয় ‘মোমঘড়ি’। সূর্য ঘড়িরপদ্ধতিতে এই ঘড়ি তারা ব্যবহার করত। অন্ধকার ঘরে তারা একটা মোমবাতি জ্বালাত।সেই আলোর কাছাকাছি তারা রেখে দিত কোন মানদণ্ড। মোমের আলো গিয়ে পড়ত সেইমানদণ্ডে। মানদণ্ডের সামনের অংশ আলোকিত হতো আর পিছনের অংশে পড়ত তার ছায়া।মোম যত ছোট হতো ছায়া তত দীর্ঘ হতো। এই ছায়া পরিমাপ করে মানুষ সময় পরিমাপকরত। যন্ত্রঘড়ি কে আবিষ্কার করেন আজো তা অজানা, তবে অনেকে মনে করেনআর্কিমিডিসের হাতে প্রথম যন্ত্রঘড়ি জীবন পায়। যেটুকু তথ্য এই মুহূর্তে আমারহাতে আছে তাতে জানি ‘গ্রেটটম’ নামে ১২৮৮ সালে একটি ঘড়ি তৈরি হয়েছিললন্ডনে। ফ্রান্সের রাজা চার্লস ডির জন্য ১৩৬০ সালে একটি ঘড়ি তৈরি হয়েছিল যাআজো সচল। আমেরিকায় প্রথম ফিউজ স্পন্সর তৈরি করেন হাতঘড়ি। বর্তমানেপারমাণবিক ঘড়ি আছে যে ঘড়ি সেকেন্ডের দশ কোটি ভাগের এক ভাগ ও সময় হের ফেরকরে না। এ রকম দুটি ঘড়ি আছে ইউএসএনবিএস ল্যাবরেটরিতে। পাটেক ফিলিপকে ধরা হয়পৃথিবীর সবচেয়ে দামি হাত ঘড়ি প্রস্তুত কোম্পানি হিসেবে।

 

No comments:

Post a Comment