তারহীন বিদ্যুৎ প্রবাহের স্বপ্ন দেখেছিলেন বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলা। ১৮৯১ সালে তাঁর আবিষ্কৃত টেসলা কয়েল হলো বিশ্বের প্রথম তারহীন বিদ্যুৎ প্রবাহের যন্ত্র।তবে অদ্ভুত সব পরীক্ষায় টেসলা কয়েল ব্যবহার শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে বেতার প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের কিছু যন্ত্রপাতির অতি প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্রাংশ টেসলা কয়েল।এ যন্ত্র বিদ্যুৎ শক্তিকে অতি উচ্চ বৈদ্যুতিক চার্জে রূপান্তর করে। এই চার্জ শক্তিশালী বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি করে, যা বৈদ্যুতিক বজ্র তৈরি করে।
টেসলা কয়েলে প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি নামে দুটি কয়েল আছে, যেখানে প্রতিটিতে ভিন্ন ভিন্ন ক্যাপাসিটর (বৈদ্যুতিক বিভব যন্ত্র) থাকে। দুটি কয়েলের মধ্যে এক 'স্পার্ক গ্যাপ' পরিমাণ ফাঁকা থাকে। 'স্পার্ক গ্যাপ' হলো অত্যন্ত ক্ষুদ্র দূরত্ব। পুরো ব্যবস্থার মধ্যে উচ্চশক্তির উৎস ও ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে শক্তি সরবরাহ করা হয়। মূলত দুটি সার্কিট স্পার্ক গ্যাপের মাধ্যমে যুক্ত হয়।
৫ টপ লোড
৪ সেকেন্ডারি কয়েল
২ প্রাইমারি কয়েল
৩ ক্যাপাসিটর
১ ট্রান্সফরমার
স্পার্ক গ্যাপ
কীভাবে কাজ করে
১ ট্রান্সফরমারের মধ্য দিয়ে উচ্চমাত্রার বিদ্যুৎ শক্তি যন্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করে।
২ প্রাইমারি কয়েলের সঙ্গে শক্তির উৎসের সংযোগ থাকে। এর ক্যাপাসিটর পানি শোষক স্পঞ্জের মতো কাজ করে বৈদ্যুতিক চার্জ শুষে নেয়।
৩ একটি নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত বিদ্যুৎ শক্তি ক্যাপাসিটরের মধ্যে জমা হয়। এর পরে বিদ্যুৎ শক্তি ক্যাপাসিটর থেকে কয়েলে চলে যায়। প্রথম ক্যাপাসিটরটি পুরো খালি হওয়ার পর কোনো শক্তি সেখানে থাকে না। ওই সময় কয়েলটি বিদ্যুৎশক্তি নেওয়ার পর্যায়ে পৌঁছায় এবং তা স্পার্ক গ্যাপের মধ্যে পাঠায়।
৪ বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রবাহ স্পার্ক গ্যাপের মধ্য দিয়ে সেকেন্ডারি কয়েলের মধ্যে যায়। দুই কয়েলের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ শক্তি আগপিছ করতে থাকে।
৫ সেকেন্ডারি কয়েলের ওপরে থাকে টপ লোড ক্যাপাসিটর নামক একটি অংশ, যা সব বিদ্যুৎ শক্তিকে একত্র করে বৈদ্যুতিক বজ্র তৈরি করে।
No comments:
Post a Comment