eBongBD.com

"All about things for easy life"
This is a website about solution of our daily problems. You can get here all Problem's solution.

Breaking

পড়ার টেবিলে বসার পূর্বে ১০ মিনিট হাঁটলে বা হালকা ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে পড়া মনে রাখতে বেশ সুবিধা হয়।

Thursday, December 14, 2017

কালো আর ধলো বাহিরে কেবল, ভিতরে সবারই সমান রাঙা।

কালো আর ধলো বাহিরে কেবল,
ভিতরে সবারই সমান রাঙা।

শ্রেণি বিন্যাসের উদ্ভব হয়েছে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষের প্রচেষ্টায়। অন্যকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে নিজেরা কিছু অধিক সুযোগ সুবিধা পাওয়ার একটি মোক্ষম উপায় হলো শ্রেণিবিন্যাস। বহু বছর ধরে আমরা পশ্চিমা বিশ্বে দেখছি, কৃষ্ণাঙ্গ এবং শ্বেতাঙ্গদের মধ্যকার বৈরী সম্পর্ক। কালোরা, সাদাদের দ্বারা নির্যাতিত, নিপীড়িত হয়ে আসছে দিনের পর দিন। সাদা চামড়ার মানুষেরা নিজেদের উৎকৃষ্ট মনে করে, আর কালো চামড়ার মানুষদের শোষণ করে আসছে। সাদা চামড়ার মানুষেরা ভিত্তিহীনভাবে সমাজে এই বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে পরিমাপের কোনো পরিমাপক আমাদের দেননি। তিনি সকলকে একইভাবে সৃষ্টি করেছেন। উপরে যে যেমনই দেখতে হোক না কেন সকলের রক্তের রঙই লাল। রক্তের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। পার্থক্য আমাদের মনের ভিতর। এই বিভেদ আমাদের বা আমাদের সমাজের দ্বারাই সৃষ্ট। আশরাফ, আতরাফ আমরাই সৃষ্টি করেছি, আল্লাহ সৃষ্টি করেননি। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র আমরাই সৃষ্টি করেছি, ভগবান সৃষ্টি করেননি। বিধাতার কাছে সবাই সমান। ছোট-বড়, সাদা-কালো, সব আমাদেরই তৈরি। এটা শুধুমাত্র, ছোটকে ছোট করে রাখা, গরীবের রক্ত চুষে ধনীর আরো ধনী হওয়া। দুর্বলকে কব্জা করে, সবলের আরো সবল হওয়ার একটা কৌশল মাত্র। এই কৌশলকে পুঁজি করে স্বার্থপর মানুষেরা অপরকে ঠকিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করে চলেছে বহুকাল ধরে। আর এই অবিচারের স্বীকার হচ্ছে সমাজের তথাকথিত নিকৃষ্ট শ্রেণির অসহায় মানুষ। এই শ্রেণি বিভাগের অন্তরালে চলছে শোষণ আর অবিচারের খেলা।

শিক্ষা: ঈশ্বর সকলকে সমানভাবে সৃষ্টি করেছেন। সমাজের পার্থক্য আমাদেরই উদ্ভব। কতিপয় লোক এই সূত্র ধরে সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে মাত্র। শারীরিক গঠন বা বর্ণের মাধ্যমে মানুষকে মূল্যায়ন করা উচিত নয়, মানবিক গুণাবলি দিয়ে মানুষকে বিচার করা উচিত।

No comments:

Post a Comment