বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে,
আমরা তখন বসে বিবি তালাকের ফতওয়া খুঁজেছি, ফিকাহ হাদিস চষে।
বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে জ্ঞান-বিজ্ঞানের পরিধি প্রসারিত হওয়ার সাথে সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে মানবসমাজের নানা অন্ধসংস্কার। অগ্রগতির এই ধারাকে অব্যাহত ও বেগবান রাখতে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও রয়েছে সমান প্রচেষ্টা ও অবদান। এই পৃথিবীতে নারী ও পুরুষ একে অপরের পরিপূরক সত্তা। তা সত্ত্বেও আমাদের সমাজ থেকে নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গি মুছে যায়নি। ধর্মীয় গোঁড়ামি এখনো আঁকড়ে রেখেছে সমাজকে। ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীদের বন্দি করে রাখা হচ্ছে। সমাজে এখনো নারীদের মনে করা হয় পুরুষদের ইচ্ছাপূরণের হাতিয়ার। ধর্মীয় পুরুষতান্ত্রিকতার কাছে জিম্মি হয়ে আছে নারীজাতির স্বাধীনতা। ইচ্ছেমত বিয়ে করা আর তালাক দেওয়া এখনো পুরুষের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এক্ষেত্রে তারা ব্যবহার করার চেষ্টা করে ধর্মীয় নীতির অপব্যাখ্যা। প্রত্যেক ধর্মে নারীদের মর্যাদার কথা বলা হলেও তারা নিজেদের মতো ব্যাখ্যার মাধ্যমে স্বীয় স্ত্রীর কর্তৃত্ব রাখছে নিজেদের হাতে। পৃথিবী যখন সভ্যতার শিখরে আরোহণ করতে যাচ্ছে তখন কিছু ধর্মীয় গোঁড়ামি আঁকড়ে ধরে হরণ করে চলেছে নারীর অধিকার। নারীর ক্ষমতায়নের যুগেও তারা স্ত্রী তালাকের ফতওয়া খুঁজে বের করার অদ্ভুত চেষ্টায় রত। এহেন গোঁড়ামি পরিহার করে তারা এখনো সামাজিক উন্নতি সাধনের স্বপ্ন সারথীদের সঙ্গী হতে পারছে না। বিশ্ব যখন এগিয়ে যাচ্ছে অগ্রগতি ও বৈষম্যহীনতার দিকে তখন তারা ব্যস্ত তাদের স্ত্রীদের সেবা গ্রহণ করতে। একদিকে বিশ্বের উন্নতি অবিরাম থাকলেও অন্যদিকে ধর্মীয় গোঁড়ামির কারণে সমাজে নারীর অবস্থানের উন্নতি হচ্ছে না। সভ্যতার ধারা তার আপন গতিতে সামনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। কিন্তু নারীরা এখনো আবদ্ধ রয়েছে ধর্মীয় গোঁড়ামির শৃঙ্খলে।
শিক্ষা: নারী-পুরুষ উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাধিত হচ্ছে মানব বিশ্বের অগ্রগতি। ধর্মীয় গোঁড়ামি এই পথ চলাকে বাধাগ্রস্ত করে ফলে সামগ্রিক উন্নতি ব্যাহত হয়।
No comments:
Post a Comment