বিনয় উন্নতি পথে প্রধান সোপান বিনয়ে মানব হয় মহামহীয়ান।
মহান সৃষ্টিকর্তা মানুষের মধ্যে এমন কতগুলো গুণাবলী দান করেছেন যার ফলে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। এ সমস্ত গুণাবলীর মধ্যে বিনয় অন্যতম। তবে পৃথিবীর সকল মানুষ সমান নয়। কেননা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত গুণাবলী সবার মাঝে সমান বিকশিত হয় না। পৃথিবীতে যে জাতি যত উন্নত ও শিক্ষিত তাদের বিনয় তত বেশি। বিনীত মানুষকে বৃক্ষের সাথে তুলনা করা যায়। ফলবান বৃক্ষ যেমন ফলাভারে দম্ভ না করে নুয়ে পড়ে তেমনি জগতের মহৎ মানুষেরা দাম্ভিকতার পরিবর্তে বিনয় প্রদর্শন করে। বিনয়হীন মানুষ আর পশুর মধ্যে পার্থক্য নেই। পশু যেমন যেকোনো সময় হিংস্র হয়ে উঠতে পারে তেমনি বিনয়হীন মানুষেরাও বিবেকহীন নিষ্ঠুরতায় মেতে ওঠে। বর্তমান যুগে শিক্ষাকে উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসেবে ধরা হয়। শিক্ষায় আচরণের কাক্সিক্ষত ও ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। আর এই কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন বলতে মূলত বিনয়কেই বোঝানো হয়। সুতরাং এ কথা পরিষ্কার করে বলা যায় যে বিনয় ব্যতিত মানবিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (স.) সহ পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত সকল মহৎ ব্যক্তি ও দার্শনিকগণ বিনয়ের শিক্ষা দিয়ে গেছেন। পৃথিবীর সকল ধর্মের মূলনীতির মধ্যে বিনয় স্থান পেয়েছে। বিনয় না থাকলে এই পৃথিবী মস্ত বড় কসাইখানায় পরিণত হত। মানুষে মানুষে হানাহানি, সংঘর্ষ, খুন, রাহাজানি ইত্যাদি বেড়ে যেত। ফলে সমগ্র পৃথিবী অস্থিতিশীল হয়ে উঠত। আর স্থিতিশীলতাই উন্নয়নের চাবিকাঠি। মানুষ তখনই মহৎ হয় যখন তার আচার-আচরণে যথেষ্ট বিনয় প্রকাশ পায়।
শিক্ষা: মনুষ্যকূলে জš§গ্রহণ করলেই তাকে মানুষ বলা যায় না। প্রকৃত মানুষ হতে হলে তার চরিত্রে অবশ্যই বিনয় থাকা চাই। সৎ, পরিশ্রমী ও বিনয়ী ব্যক্তিরাই জীবনে সফল হতে পারে।
No comments:
Post a Comment