eBongBD.com

"All about things for easy life"
This is a website about solution of our daily problems. You can get here all Problem's solution.

Breaking

পড়ার টেবিলে বসার পূর্বে ১০ মিনিট হাঁটলে বা হালকা ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে পড়া মনে রাখতে বেশ সুবিধা হয়।

Tuesday, October 23, 2018

কমিউনিটি ক্লিনিক

শনিবার শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি ক্লিনিক পুরস্কার বিতরণ এবং কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের ই-লার্নিং কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা জানান।

তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা একটি ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করব। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকের একটি নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থাকবে। ভবিষ্যতে সরকার পরিবর্তন হলেও এক হুকুমে কেউ যেন বন্ধ করতে না পারে।”

সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের মধ্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের কাজ শুরু করে।

সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পাঁচ বছর মেয়াদে ১৮ হাজার ক্লিনিক স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ শুরু করলেও ১০ হাজার ৭২৩টি ক্লিনিক চালু হয়।

অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা নিয়ে বন্ধ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালুর উদ্যোগ নেয়। এ পর্যন্ত ১৩ হাজার ৫০০ ক্লিনিক স্থাপিত হয়েছে, এর ১২ হাজার ৯০৬টি পুরোদমে চালু।

প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ৩০ ধরণের জরুরি ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। একেকটি ক্লিনিকের জন্য বছরে ওষুধের বাজেট ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।

কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের জন্য স্থানীয় জনগণ এ পর্যন্ত প্রায় ৮০০ একরের বেশি জমি দান করেছেন। এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ৭৮৪ জন হেলথকেয়ার প্রোভাইডার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্ট ফান্ড গঠন এবং সরকারের পক্ষ থেকে থোক বরাদ্দ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “সমাজে অনেক বিত্তবান রয়েছে, তারাও এখানে দিতে পারবেন। যারা চিকিৎসা নিতে আসেন, তারাও দান করতে চান। তারাও দেবেন। অনেক প্রতিষ্ঠঅন রয়েছে, যারা অনুদান দিতে চায়। তারাও এখানে দেবেন।”

বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী করার উপর জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়ানো এবং নিজেদের চেষ্টায় সব কিছু করতে হবে। এই কমিউনিটি ক্লিনিক স্থানীয় জনগণের পরিচালিত, সম্পূর্ণ নিজস্ব হোক।”

প্রধানমন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত ৪০ কোটিরও বেশি ভিজিটের মাধ্যমে জনগণ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা গ্রহণ করেছেন। এর শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি নারী ও শিশু।

কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ খোলা বাজারে বিক্রি করে কেউ যেন জনগণকে বঞ্চিত করতে না পারে, সেজন্য সজাগ থাকার আহ্বানও জানান তিনি।

কয়েকটি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বিনামূল্যে কমিউনিটি ক্লিনিকে তাদের উৎপাদিত ওষুধ দিচ্ছে। সব প্রতিষ্ঠানকে তা অনুসরণের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রম ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা কিন্তু প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এখানে সব চিকিৎসা হবে না। এটা রেফারেল সিস্টেম।”

No comments:

Post a Comment