দাবানলে পুড়ছে বিশ্বের ফুসফুস আমাজন জংগল।এটি বিশ্বের বৃহত্তম জংগল। আল্লাহ এই বিশ্বকে রক্ষা করো।
আগুনে পুড়ছে ‘পৃথিবীর ফুসফুস' গত এক সপ্তাহে সাড়ে ৯ হাজারেরও বেশি আগুন লেগেছে অ্যামাজনে! আগুনের শিখা আর ধোঁয়ার এমনই তীব্রতা, যে তা দেখা যাচ্ছে মহাকাশ থেকেও!!
পৃথিবীতে যতোটুকু অক্সিজেন আছে তার ২০ শতাংশই উৎপাদিত হয় আমাজনের জঙ্গল থেকে, গবেষকদের মতে এই বন প্রতিবছর ২০০ কোটি মেট্রিক টন কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে। সে কারণে একে ডাকা হয়ে থাকে ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ নামে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির হারকে ধীর করতে অ্যামাজনের ভূমিকাকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। বিশ্বের দীর্ঘতম এ জঙ্গলটির আয়তন যুক্তরাষ্ট্রের আয়তনের প্রায় অর্ধেক। পৃথিবীতে যতোটুকু “রেইন ফরেষ্ট” বেঁচে বর্তে আছে এখোনো, তার ৫৪% ই আছে আমাজন এলাকার আড়াই মিলিয়ন ( ২৫ লক্ষ ) বর্গমাইল জুড়ে । অ্যামাজন বনে আগুন লাগার ঘটনা এ বছরে ৮০ শতাংশের বেশি বেড়ে গিয়েছে। অবৈধভাবে গাছ কাটাকেই এর অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেছেন ব্রাজিলের পরিবেশ মন্ত্রী এডসন ডুয়ার্ট। সয়াবিনের চাষ আর পশুর খামার করে বিশ্বের বাজারে মুনাফার আশায় ব্রাজিলের বৃষ্টিপ্রধান ক্রান্তীয় অরণ্যকে কেটে শেষ করছে কিছু লোভী মানুষ, ব্রাজিল সরকারের এতে ইন্দন আছে বলে ধারনা করা হয় ৷ ২০১৫ সালে অ্যামাজন জঙ্গলের যে অংশটা কেটে ফেলা হয়, তার আয়তন হবে লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের চারগুণ৷
আমাজন বন যেন এক জীবন্ত লাইব্রেরী। এই বিশাল অরণ্য প্রায় ২.৫ মিলিয়ন কীটপতঙ্গ, প্রায় ১৬ হাজার প্রজাতির গাছ, ২ হাজারের মত পাখি আর স্তন্যপায়ী নিজের মধ্যে ধারণ করে আছে। এছাড়াও ৪০ হাজার প্রজাতির গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ, ৩৭০০ প্রজাতির বিভিন্ন মাছের বিচরণ এখানে।
নাসা তাদের স্যাটেলাইটে অ্যামাজনে আগুনের ফলে সৃষ্ট ধোঁয়ার ছবি প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, আগুনের কারণে বিশ্বের বৃহত্তম অরণ্য অ্যামাজনে সিও২ এর মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত অ্যামাজন জঙ্গলে ৭২ হাজার ৮৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অ্যামাজানের অর্ধেকেরও বেশি এলাকাজুড়ে যার ব্যাপ্তি। এ সংখ্যা গতবছরের একই সময়ের চেয়ে ৮০ শতাংশ বেশি। তবে সবচেয়ে উদ্বেগের খবর হলো, গত এক সপ্তাহে সাড়ে ৯ হাজারেরও বেশি আগুন লেগেছে অ্যামাজনে। মানুষের অতিরিক্ত লোভের কারনে পৃথিবীর আয়ু দ্রুত কমে যাচ্ছে, পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে । পরিবেশ রক্ষায় সারা পৃথিবীর এক হওয়ার এখুনি সময় ।
সূত্রঃ ইন্টারনেট
No comments:
Post a Comment