ঘুম হলো মানুষের শরীর কে রিএকটিভ বা পুণরায় কর্মক্ষম করে তোলার এক প্রসেস বা পদ্ধতির নাম। একটি ইঞ্জিন কে নির্দিষ্ট সময় চালনার পর যেমন বন্ধ করে রাখা হয় পরবর্তী সময়ে চালনা করার জন্য, ঠিক তেমনি মানুষের শরীর টাও তাই। আপনার যদি প্রতিদিন ঘুমের ঘাটতি থাকে তবে একদিন দুইদিন টের পাবেন না এরপর দেখবেন শরীর দূর্বল লাগছে, ঘুম ঘুম ভাব হচ্ছে, ঠিকমত কাজে মন বসাতে পারছেন না, অল্পতেই ক্লান্ত বোধ করছেন, আপনার মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে, সামান্যতেই পরিবার ও বন্ধুদের সাথে রেগে যাচ্ছেন বা খারাপ আচরণ করছেন। এতে পরিবারে ঝগড়াঝাটি সৃষ্টি হবে, বন্ধুদের কাছে আপনি খারাপ তালিকায় থাকবেন। এভাবে দীর্ঘদিন চলতে থাকলে আপনার শরীরে নানারোগ বাসা বাঁধবে। বদহজম হবে, গ্যাস হবে ধীরে ধীরে খাবারের প্রতি অরুচি চলে আসবে, যৌন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, চোখের নিচে ফুলে যেতে পারে অথবা কাল দাগ পরতে পারে, আর এভাবে কয়েক বছর ধরে চলতে থাকলে বয়স হওয়ার আগেই বার্ধক্যের ছাপ পড়ে যায়। আর পর্যাপ্ত ঘুম শরীরকে করে শক্তিশালী, চেহারাকে রাখে উজ্জ্বল ও সতেজ আর মনকে রাখে প্রফুল্ল। তাই শত কাজ বা ব্যস্ততা থাকলেও ঘুমের যেন ঘাটতি না হয় সেদিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। এবার আসুন জেনে নেই কোন বয়সে কত সময় ঘুম আমাদের জন্য পর্যাপ্ত।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment