ওয়াল্টার হান্টের মাথায় নতুন নতুন আইডিয়া গিজগিজ করত। সে প্রথমে আবিষ্কার করে ফ্লাক্সকে ঘোরাতে পারে এমন একটি মেশিন। তারপর তার হাত ধরে আসে ফায়ার ইঞ্জিন গং, বনের কাঠ কাটার জন্য বিশেষ ধরনের করাত, শক্ত কয়লা পোড়াতে সক্ষম স্টোভ ইত্যাদি। হান্টের আবিষ্কার গুলো ভালোই কাজ দিত। কিন্তু তার ব্যবসায়িক বুদ্ধি খুব বেশী ছিলোনা। ১৮৪৯ সালের একদিনের কথা। হান্টের মন ভীষন খারাপ। এক বন্ধুর কাছ থেকে সে পনের ডলার ধার করেছে। শোধ দিতে হবে। তুমি ভাবছ পনের ডলার এ আর এমন কি! আরে ভাই সময়টা বিবেচনা করে দেখ। তখন আমরা চাকরি করলে হয়তো পনেরো টাকা বেতনও পেতাম না। যাই হোক, হান্ট ভাবতে শুরু করলো। তাকে নতুন কিছু একটা আবিষ্কার করতেই হবে।
বেশ ভাবনা চিন্তার পর হান্ট ব্যবহারিক ক্লাশে বসে গেলো। সে আট ইঞ্চি লম্বা তামার একটা তার নিলো। তারটার মাঝের অংশে একটা প্যাঁচ লাগিয়ে বাঁকিয়ে নিলো। তারের এক মাথায় ক্যাপের মত করে নিলো অন্য মাথা চোখা থাকলো। পৃথিবীর প্রথম সেফটি পিনটি তৈরী হলো হান্টের হাতে। হান্ট এবার কিন্তু ভূল করলো না। সে জিনিসটার প্যাটেন্ট নিয়ে নিলো। সেফটিপিনের শর্ত বেচে সে চারশো ডলার আয় করলো। বন্ধুর ধার শোধ করার পরেও হাতে আছে তিন শত পঁচাশি ডলার।
No comments:
Post a Comment