eBongBD.com

"All about things for easy life"
This is a website about solution of our daily problems. You can get here all Problem's solution.

Breaking

পড়ার টেবিলে বসার পূর্বে ১০ মিনিট হাঁটলে বা হালকা ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে পড়া মনে রাখতে বেশ সুবিধা হয়।

Saturday, December 16, 2017

বাংলাদেশ পাচ্ছে ৫০০০ একর জমি

ডেস্ক: প্রায় ৫ হাজার একর আয়তনের একটি দ্বীপ (চর)। সাগরের মাঝে বছরের ৬ মাস জেগে থেকে জানান দিচ্ছে, দেশের মানচিত্রে সে অংশীদার হবে। স্থানীয় মানুষের মুখে মুখে ফিরে প্রাথমিকভাবে দ্বীপটির নামকরণ করা হয়েছে 'চর বিজয়'। ভ্রমণ পিয়াসী অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকরা বিজয়ের মাসে দ্বীপটি খুঁজে পেয়েছেন বলেই তার নাম চর বিজয় রাখা হয়েছে।

চর বিজয়ের চারপাশে জেলেরা মাছ শিকার করেন। তারা তিন মাসের জন্য চরে অস্থায়ী আবাস তৈরী করে মাছের শুঁটকি প্রস্তুত ও বিক্রি করেন। জেলেদের কাছে এটি হাইর চর নামেও পরিচিত। আ. হাই নামের কোনো এক জেলে সর্বপ্রথম দ্বীপটির সন্ধান পান বলে এর এমন নামকরণ করা হয়েছে। এ কথা স্থানীয় জেলেরা জানিয়েছেন। দ্বীপটির ছয় মাসের মেয়াদকালে স্থায়ী বাসিন্দারা হলো কোটি কোটি লাল কাঁকড়া ও শীত মৌসুমে অগনিত অতিথি পাখি।

বরগুণার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা পর্যটন স্পট থেকে দক্ষিণ পূর্বে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার ও পটুয়াখালীর কুয়াকাটা থেকে দক্ষিণে ৩০ কিলোমিটার দূরে সাগর বক্ষে দ্বীপটির অবস্থান। অতি সম্প্রতি কুয়াকাটার সী ট্যুরিজমের উদ্যোগে ট্যুরিস্ট বোট নিয়ে ঢাকার পর্যটক আর স্থানীয় কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের একটি টিম পৌঁছান দ্বীপটিতে।

বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান জানান, বর্ষার ছয় মাস এ চরটি ডুবে থাকে আবার শীতের মৌসুমে ধু ধু বালুর চর জেগে উঠে। যার সাথে মিশে আছে অতিথি পাখীর সমারোহ এবং চরটি জুড়ে রয়েছে লাল কাকড়ার বিচরণ।

কুয়াকাটা সী ট্যুরিজমের অ্যাডমিন ও কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি জনি আলমগীর জানান, কুয়াকাটা থেকে মাত্র দেড় ঘণ্টায় এবং সোনাকাটা থেকে ২ ঘণ্টায় পৌঁছানো যায় সেখানে। এটি এখন দর্শনীয় পর্যটন স্পট হওয়ার পথে বলে কুয়াকাটার ট্যুরিজম কর্তৃপক্ষ ও ট্যুর অপারেটররা জানিয়েছেন।

চরটি ঘুরে আসা পর্যটক ঢাকার বনশ্রীর সীমা আক্তার (৩৪) জানিয়েছেন, তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্যুর করেছেন। কিন্তু কুয়াকাটার কাছাকাছি সমুদ্রের মধ্যে এত সুন্দর একটি দৃশ্য দেখবেন তা কল্পনা করেননি।

কুয়াকাটা সী ট্যুরিজমের এ্যাডমিন ও একটি ইংরেজি দৈনিকের ফটো সাংবাদিক আরিফুর রহমান বলেন, প্রাকৃতিক দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করা তার কাজ এবং সেগুলোকে প্রচার করা দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায়। চর বিজয়ে ঘুরতে এসে যা পেয়েছি সেটা গোটা দক্ষিণাঞ্চলের ট্যুরিজমের জন্য মডেল হয়ে দাঁড়াবে। এটাকে এখন শুধু সরকারি বেসরকারি ভাবে ব্রাডিং করে বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তা হলে পর্যটন শিল্পের আরও বিকাশ ঘটবে।

বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, চর বিজয় বা হাইর চর জেলেদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি দ্বীপ। এর আশপাশে আরও অনেক চর জেগে উঠছে। এভাবে বাংলাদেশের আয়তন বেড়ে চলেছে।

কুয়াকাটার পৌর মেয়র আ. বারেক মোল্ল্যা জানান, চরটির কথা শুনেছি। অনেক সুন্দর। আমিও কিছু দিনের মধ্যেই ওই চর বিজয় পরির্দশনে যাব।

-অর্থসূচক

No comments:

Post a Comment