১১. বিউটি হোমা:
বিউটি হোমা সাধারণত সাদা রঙের হয় এদের ঠোঁট অন্য কবুতরের থেকে আলাদা হয়। প্রাপ্ত বয়স্ক বিউটি হোমা কবুতরের মূল্য ৩০০০ থেকে ৭০০০ টাকা। তাছাড়া সবজি ৩০০০-১ লক্ষ টাকা, মাকসি ৬-৮ হাজার, ব্ল্যাক হোমার ২-৫ হাজার, রেড চেকার ১০-১৫ হাজার, মিলি ১০-২০ হাজার এবং হোয়াইট হোমার ১৫-৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
১২ . পটার কবুতর / বল কবুতর:
বল একটি ফেন্সি জাতের কবুতর। এদের গলা বলের মত হওয়ায় এদের নাম বল বলা হয়। প্রাপ্ত বয়স্ক পটার বা বল কবুতরের মূল্য ৬০০০ থেকে ৮০০০ টাকা।
১৩. টাম্বলার/গিরিবাজ কবুতরঃ
প্রাচীনকাল থেকেই গিরিবাজ কবুতর কে উড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় এরা খুব ভালো উড়ে ।আকাশে উড়ার সময় ডিগবাজি খায়, অনেকেই এদের দিয়ে বাজি খেলে, অনেক দূর থেকে দেখে ছেড়ে দিলেও এরা বাসায় আসতে ভুল করনা। গিরিবাজ কবুতর অনেক ধরনের হয়ে থাকে উল্লেখযোগ্য কিছু গিরিবাজ কবুতরের নাম হচ্ছে সবুজ গোল,ঝাক,কালদম,জিরা গলা, দোবাজ,গীয়াসূল্লী, নাপতা, বাবড়া, লাল গলা ইত্যাদি। প্রাপ্ত বয়স্ক গিরিবাজ কবুতরের মূল্য সাধারণত ৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। তবে সবুজ গোল্লা ১০০০-১৫০০টাকা, গররা ১০০০-১৫০০ টাকা, মুসলদম ৮০০-১৫০০, কালদম ১০০০-২৫০০, বাগা ৮০০-১৫০০টাকা ;
১৪. ফ্রিল ব্যাক কবুতরঃ
ফ্রিল ব্যাক দেখতে বেশ সুন্দর। পালক গুলি কোকরানো বেশ অাকর্ষনীয় লাগে। সাধারণত এরা সাদা রং এর হয়ে থাকে।এদের সাদা রং ছাড়াও কালো বা বাদামী বা অন্য রং এর ও হতে দেখা যায়। প্রাপ্ত বয়স্ক ফ্রিল ব্যাক কবুতরের মূল্য ৪০০০ থেকে ১০০০০ টাকা।
১৫.রেছার কবুতরঃ
রেসার কবুতর দূর থেকে ছাড়ার কাজে ব্যবহার করা হয় এরা বাসায় ফিরতে কখনও ভুল করে না তাই এদেরকে দিয়ে বিভিন্ন রেস খেলা হয়। রেসার কবুতরের মূল্য ১০০০ থেকে লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
১৬. লোটন/নোটন/রোলিং (Rolling):
লোটান/নোটন কবুতরকে রোলিং (rolling) কবুতরও বলা হয়। গিরিবাজ কবুতর যেমন শূন্যের উপর ডিগবাজী খায়, তেমন লোটন কবুতর মাটির উপর ডিগবাজী খায়। সাদা বর্ণের এই কবুতরের ঘুরানো ঝুঁটি রয়েছে। এদের চোখ গাঢ় পিঙ্গল বর্ণের এবং পা লোমযুক্ত। প্রাপ্ত বয়স্ক নোটন কবুতরের মূল্য ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা।
১৭.জালালি কবুতরঃ ইসলাম ধর্মের মহান সাধক বা মহান জিহাদী পীর সাহেব হযরত শাহজালাল (রহঃ) এর পালিত কবুতরের জাত কে জালালি কবুতর বলে।তাঁর পুরো নাম শায়খ শাহ জালাল কুনিয়াত মুজাররদ। তাঁর সম্পর্কে ছোট্ট আরও একটি তথ্য দিয়ে রাখি, তাঁর জন্মভূমি ইয়েমেনে যা আমরা অনেকেই জানি না। যাইহোক, ১৩০৩ সালে (৭০৩ হিজরী) ৩২ বছর বয়সে তিনি সিলেটে আসার পথে দিল্লীর আউলিয়া নিজামুদ্দীনের সাথে সাক্ষাত করেছিলেন। সাক্ষাতের বিদায়কালে প্রীতির নিদর্শন স্বরূপ নিজামুদ্দীন হজরত শাহ্ জালাল (রাঃ) কে এক জোড়া সুরমা রঙের কবুতর উপহার দিয়েছিলেন। এই কবুতর নিয়েই তিনি সিলেটে এসেছিলেন। সেই থেকে সিলেটে এই কবুতরের ব্যাপকতা দেখা যায় এবং এর নাম হয় “জালালি কবুতর”। সাধারণত এই জালালি কবুতর খাওয়া হয় না। কারণ এটির মূল মালিকানা যরত শাহজালাল (রহঃ) এর। তবে অনেকে বলে, যদি এরা অাপনার বাড়িতে নিজ ইচ্ছায় বাসা করে ও খাবার খায় তবে বাচ্ছা অাপনি খেতে পারেন।
১৮. মুসল দম কবুতরঃ এই কবুতরের সমস্ত শরীর কালো কিন্তু দম বা লেজ গুলো সাদা।
১৯. সিল্কিঃ
২০. কাগজীঃ সমস্ত শরীর সাদা কিন্তু সমস্ত চোখ কালো।
২১. চিলাঃ এদের গায়ের রং অনেকটা চিলের মত।
No comments:
Post a Comment